.      # "নজরুল-তিরোধান স্মরণ" #
                     (কবিতা)


এপার-ওপার....দুই বাংলাকে কাঁদিয়ে
এমনি এক দিনে সাতচল্লিশ বছর আগে
'দুখু মিয়া' ছেড়ে গেছেন ধরার ঠিকানা,
মিলে...দ্রোহে-প্রেমে ও কোমলে-কঠোরে
সাহিত্য-সঙ্গীতকে দিয়েছেন নূতন ঘরানা।


একুশ বছর, তাঁর সাহিত্য সাধনায় সৃষ্টি-
অসংখ্য কবিতা, গদ্য...হয়েছে যেন বৃষ্টি,
এসেছে নজরুল গীতি, অসাধারণ গান
রবিঠাকুরের সঙ্গে উচ্চারিত, তাঁর স্থান।


এই দুই মহাত্মার  ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধা
যদিও ভিন্ন খাতে ছিল তাঁর সৃজনশীলতা,
বয়সের ব্যবধান ছিল, তিন যুগেরও বেশি
নজরুলের সাফল্যে তিনি হতেন খুব খুশি।


মানবতার জয়গান গেয়েছেন মিয়া-সাহেব
চরম দারিদ্র্যের কষাঘাতেও হয়নি নড়চড়,
নিঃস্বার্থে, গেয়েছেন চিরদিন সাম্যের গান
তাঁর লেখনীতে নারী-পুরুষ...সমান সমান।


নামকরণের সাথে মিলে গেছে তাঁর জীবন
জীবনে, 'দুখু-মিয়া' পেয়েছেন শুধুই যন্ত্রণা,
বাংলা দেশের আনুকূল্যে পেলেন স্বাচ্ছন্দ্য
কিন্তু বোঝার মত শক্তি তখন দেহে ছিলনা।


হে মহান...
তোমায় সম্পূর্ণ বোঝা, এ ক্ষুদ্র বুদ্ধির বাইরে
তোমার আটচল্লিশ-তম তিরোধান দিনে আজ
রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও সহস্র প্রনাম, তব শ্রীচরণে।


***************************
সুব্রত ভৌমিক ২৯-০৮-২০২৩ কোল-৭৫
***************************