তুমি শুধু বাবা নও, এক পর্বতের মতো  
যার শির সর্বদা ঊর্ধ্বে, অবিচল অবনত।  
ভোরের কুয়াশা ভেদে কর্মপথে ধাবমান,  
সন্ধ্যার নীরবতায় ক্লান্ত দেহে গৃহাগমন।  

প্রতিটি দিনের সংগ্রামে অজানা লড়াই,  
অশ্রু লুকায়ে রাখে ম্লান হাসির ভিতরই।  
ঝড় আসে, বন্যা আসে, ভেঙে দেয় সব বাঁধ,  
তুমি দাঁড়াও দৃঢ়চিত্তে, অটল অভিভাবক-সাঁথ।  

শিকড় গেঁথে দৃঢ় পাথরে, ছায়া দাও উদার,  
তোমার ব্যথার ইতিহাস কে জানে বিস্তার?  
ভাঙা নৌকা মেরে যিনি স্রোতে ভাসান,  
তোমারই তো সাধনায় বাড়ি আমাদের আশান।  

প্রতিদান? সে শব্দটি তো অচেনা তোমার কানে,  
ক্ষুধার্ত পেটে সন্তানের অন্ন দিতে জানেন।  
মূল্যবান সময় তবু অমূল্য দানের খাতা,  
ক্লান্ত শরীরে শুধু চাও সন্তানের হাসিমাখা মুখ-ছবি।  

ওগো বাবা, তুমি সেই নিরব আলোকের রেখা,  
যে পথে হাঁটলে কভু ফুরায় না যেন দেখা।  
তোমার হাতের চিহ্ন আমার হৃদয়ে লেখা—  
বাবা, বাবা, ও বাবা, তুমি আমার দেখা—
পৃথিবীর সেরা মানব।