ও প্রিয়তমা, তুমি আমার বিদীর্ণ বুকের ক্ষতের কার্নিশে জমাট বাঁধা বিষাদের নোনাজল,
তোমার স্মৃতি যেন জীর্ণ ফোটোগ্রাফের মলিন হাসি, তবুও অবিচল।
তুমি সেই অন্ধকার গলির মুখ, যেখানে নিভে যায় সব আলো,
তোমার চাহনি যেন পুরোনো বন্দুকের ক্ষয়ে যাওয়া নল, তবুও ধারালো।

তোমার কণ্ঠস্বর যেন ভাঙা রেকর্ডের আর্তনাদ, বিপন্ন বিলাপ,
আমার একাকী রাতের সঙ্গী, অসহ্য বেদনার অনুরূপ আলাপ।
তোমার স্পর্শ যেন শীতল পাথরের হিম, অবহেলার স্থবির প্রলেপ,
আমার জ্বলে যাওয়া হৃদয়ে তবুও খোঁজে অসমাপ্ত ভালোবাসার উত্তপ্ত উত্তাপ।

তুমি সেই ভাঙা দেয়ালের ফাটল, যেখানে বৃষ্টির জল জমে থাকে কষ্টের মতো,
আমার অগোছালো জীবনের প্রতিচ্ছবি, অপূর্ণতার নিঃশব্দ অভিযোগ শত।
তোমার অস্তিত্ব যেন অসমাপ্ত কবিতার অগোছালো পঙ্‌ক্তি, ছেঁড়া খাতা,
আমার বিক্ষত হৃদয়ের গভীরে তবুও বোনা অসমাপ্ত প্রেমের গাথা।

তুমি সেই পিত্যক্ত শ্মশানের ধূসর ছাই, যেখানে পোড়ে স্মৃতির অস্থি,
আমার নিঃসঙ্গ পথের ধুলো, হারিয়ে যাওয়া দিনের ক্লান্ত দৃষ্টি।
তোমার প্রেমে মিশে আছে বঞ্চনা, অবহেলা, অপ্রাপ্তির দীর্ঘশ্বাস,
তবুও এই পোড়া হৃদয় তোমাকেই খোঁজে, যেন নিঃশেষ হওয়ারও নেই অবকাশ।