আজ পুণ্য প্রভাতে, শতবর্ষ পেরিয়ে,
তোমারি স্মরণে চিত্ত, উদ্বেলিত হয়ে।
মৃত্যুঞ্জয়ী তুমি, কালের পৃষ্ঠায় অক্ষয়,
হে দ্রোহের অনল, অনন্ত প্রত্যয়।

ছিলে তুমি শাশ্বত, অগ্নিবীণার গান,
বিষের বাঁশিতে তব, প্রলয়ের আহ্বান।
সাম্যবাদী তুমি, সর্বহারাদের তরে,
ভেদাভেদহীন বিশ্বে, দোলনচাঁপা ভরে।

উপেক্ষিত জনতা, পেয়েছিল তব কণ্ঠ,
ভাঙার গান গেয়েছিলে, কণ্ঠে অকুন্ঠ।
দারিদ্র্য দহনে জ্বলা, জর্জরিত প্রাণ,
তাদের তরে লড়েছিলে, মহাশ্মশান গান।

প্রেমের পরশ তব, চক্রবাক অনুভবে,
বুলবুল সুরে বাজে, নিত্য নব রবে।
সিন্ধু হিন্দোল তোলে, ছায়ানট তান,
তোমার বসন্ত গানে, মুগ্ধ পরাণ।

আজও শুনি তব বজ্র, প্রলয় শিখা জ্বলে,
মুক্তির নেশায় মত্ত, মৃত্যুক্ষুধা টলে।
চির উন্নত শির, হে নির্ভীক প্রাণ,
তোমারি আদর্শে গড়ি, যুগবাণীর গান।

প্রণমি তোমারে, হে মহাজীবনের কবি,
তোমারি প্রজ্ঞালোকে, উদ্ভাসিত ছবি।
বাঁধনহারা তুমি, কুহেলিকা ভেদকারী,
তোমারি কীর্তিগাথা, রবে মর্মভেদী।

ঝিঙে ফুল আর সঞ্চয়িতার তানে,
পুতুলের বিয়ে হয়, নবীন বিহানে।
চন্দ্রবিন্দু হাসে আর, নকশি কাঁথা বোনে,
পাপের পুঁটলি খুলে, মৃত্যুক্ষুধা গোনে।

যতদিন রবে চন্দ্র, রবে রবি-তারা,
তোমারি শেষ সওগাত, রবে দিশেহারা।
রিক্তের বেদন আর, শিউলিমালা মাঝে,
চিরকাল তুমি রবে, প্রতিটি কাজে।