বিষাদে ডুবেছে এ শহর, গলিত সীসার ধোঁয়ায়,  
কে তুমি নারী - নির্মল শ্বাস, অন্তর্ভেদী দৃষ্টিচোয়ায়?তোমার চরণধ্বনি শুনি, বিষের কুয়াশা চিরে,  
আলিঙ্গনে ডুব দিতে চাই, হৃদয়ে অগ্ন্যুৎপাত করে!

দেখা দাও হে নীলাঞ্জনা! কোথায় তোমার ঠাঁই?
কজ্জল কৃষ্ণাভ কেশজালে আচ্ছন্ন রাত যেই,
ভেঙে ফেলো ইট-কংক্রিটের শীতল কারাগার -
তোমার অঙ্গুলিস্পর্শে চাই পাই মৃত্যু-আহার!

তোমার পুরু ঠোঁটে মিশে চাই অগ্ন্যুৎপাত-রস,
নীল রেশমি শাড়িখানি যেন বিষাদে অনড় বস।
তোমার নিঃশ্বাসে মিশে যাক এ দগ্ধ ফুসফুস,  
মুখচ্ছায়ায় ঢেকে দাও এ ক্ষত-বিক্ষত চুর্ণযূথ!

তোমার চোখের গহ্বরে মিশে চাই বিষের বিনাশ,
কৃষ্ণতার আড়ালে যেন জ্বলে অগ্নিবাষ্পরাশ!
তোমার সুখ-দুঃখে মাখা এ জীবন অর্ধেক,  
বিষের বাষ্পে দাও অনাবিল শান্তি - অমৃত এক!

ওগো নীলাচিতা! তুমিই বিশুদ্ধতার অমোঘ ভাষা,
তোমাতেই বিলীন হোক এ দেহ - বিষাক্তের আশা।
তোমার শিরায় শিরায় মিশে থাকুক সীসার বিষ,  
আমি তবু চাইবো পান করতে তোমার রক্তিম নিশ্বাস!