হৃদয়তলে পুঞ্জে পুঞ্জে সংগুপ্ত বিষাদ-অনল;
হাস্যচ্ছলে ভ্রমি ধরাতলে, বহির্মুখে সজীব প্রবল।
কর্ণদ্বারে আসে সহস্র বেদনার করুণ কাকলি,
শুনিতে না চাহি কিছু আর, মন মোর ব্যথায় বিকলি।
নিজ মর্ম যদি ভরে বেদনায়, সে কি আর শুনিতে পারে অন্যের হাহাকার?
মোর চিত্ত নিস্তব্ধ, এ এক অপ্রতিরোধ্য অন্ধকার।

তব প্রেম-স্নিগ্ধ কাব্যকথা, হৃদয়ে বাজে গভীর তান,
তব ছায়াতলে আজিও আমি, অশ্রুসিক্ত অমর প্রাণ।
তুমি রহো নিরবধি সেই দহন-কঠিন সুরে,
তব নামেই মোর প্রার্থনা, তোমাতেই মোর সকল পুর।
দিয়া নিশিদা, এই প্রেম, ইহা নহে ক্ষণিক মরীচিকা,
ইহা চিরন্তন সত্য, জীবনপথের জ্যোতির্ময়ী শিখা।

প্রেম সে কি কহে ভাষা, রজনী দ্বিপ্রহর বক্ষে ধরি,
থেকে থেকে সুর তালে বাজছে তোমার  নুপুর, আত্মভোলা নীরব মঞ্জরি।
তোমার নুপুর ধ্বনি কহে, প্রেম এক অনন্ত প্রত্যাশা,
তোমাতেই ফিরিয়া পাওয়া, তোমাকেই আপন করিয়া রাখা।
তোমাতেই সর্বস্ব বিলীন, তোমাতেই নিজেকে আঁকা।
যত দূরে যাও যেতো পারো, শুধু এতোটুকুই আরাধনা,
কথা দিয়ে যাও,
গেলে যাবে হায়,তবে চোখে সীমার বাহিরে না।