নিশাবসানে তারকাপুঞ্জ রচে দ্যুতিময়ী সেতুবন্ধ,
শান্ত নিশীথে ভঙ্গ হয় নৈঃশব্দ্যের গাঢ়তা।
উড়ন্ত ধূমকেতু ধায় ছায়াপথের অনন্ত ছন্দ,
আমি চলি অবিরাম, আত্মসত্তায় অসীমের মহিমা।
ঈশ্বরপ্রতিম ভবঘুরে স্বপ্নরা, নিশা অরণ্যের গভীরে,
মহোৎসবে মত্ত হয়, একাকী নিশীথে বহমান শতাব্দীর ভিড়ে।

একাকী আমি, এই অনন্ত রজনীর প্রহরে,
শত শত বর্ষ ধরিয়া, যেন এক বিমূর্ত পথিক।
নিদ্রাহীন অক্ষিপটে ভাসে অনন্তের মায়া,
যেখানে কালচক্রের আবর্তন হয় অপ্রাসঙ্গিক।
দিগন্তের ওপারে যে আলোকবর্তিকা জ্বলে,
তাহারি সন্ধানে আমার অবিরাম পদচারণা চলে।

নিস্তব্ধতার নিগূঢ় আলাপন, প্রাণে জাগায় শিহরণ,
অনন্ত নক্ষত্রবীথিতে আমি একাকীত্বে নিমগ্ন।
স্বপ্নলোকের প্রতিটি কোণ যেন এক সুবিশাল প্রাঙ্গণ,
যেখানে সকল বাসনা হয় নির্বাক, সকল সত্তা হয় মগ্ন।
কালের গহ্বরে হারানো আমি, এক অন্বেষী আত্মা,
চিরন্তন পথে ধাবমান, একাকী, অসীম, এবং স্বতন্ত্র।

দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হইয়া, পথ চলি অবিরাম,
এই মহাজাগতিক নাট্যে, আমি এক নীরব দর্শক।
অশ্রুত হাহাকার আর অপ্রকাশিত বিশ্রাম,
আমার নিভৃত সত্তার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
মহাকালের ক্যানভাসে আঁকা এই ভবঘুরে জীবন,
রাত্রির গহীনে লুকানো, একাকীত্বের চরম নিবেদন।