নয়নের তৃষ্ণা অপ্রশমিত রহিলো চিরকাল,
একটি পলক তরেও সে সুযোগ না মিলিল।
সকল বাসনা বৃথা, আঁকিবার সাধ অতল,
প্রাণের গভীরে লীন সে দৃশ্য, হলো না পরিষ্ফুটন।
অপার আকাঙ্ক্ষা ছিল, পূর্ণ প্রজ্ঞানে হেরিবারে,
বিধি সে সাধ মিটাইলো না, রহিল চির আঁধারে।
হায় রে হৃদয়! কেন জড়ালে এমত বন্ধনে,
যাহার সংগম বিধাতা লেখেনি এ নসিবে?
অন্তরের নিভৃত কন্দরে সে যে শুধু স্মরণে,
অশ্রু সিক্ত নয়নে ভাসিছে তার অনির্বাণ রূপে।
ভাগ্যচক্রের পরিহাসে, এ কোন নিদারুণ খেলা,
যেখানে মিলন কেবলি স্বপন, বিরহ নিত্য মেলা।
প্রাণের গভীরে যে ব্যথা, সে যে নিরন্তর জ্বলে,
অপূর্ণতার দহনে দগ্ধ এ জীবন প্রতিক্ষণে।
প্রেমের অনলে আত্মাহুতি, স্মৃতির অনলে জ্বলে,
তবুও কেন এ মন, সে অধরাকেই খোঁজে জনে জনে।
এ এক আশ্চর্য দহন, এক অব্যক্ত হাহাকার,
নসিবের নির্মম পরিহাসে, সব স্বপ্ন হলো ছারখার।
হৃদয়খানি তাহার তরেই সদা তৃষিত রহিলো,
যাহার সান্নিধ্য কভু মম ভাগ্য ফলিলো না।
অতৃপ্ত বাসনার ক্রন্দন, অহরহ মর্ম বিঁধিল,
এই বিরহ যাতনা, জীবনে কভু না ঘুচিলো।
জন্ম জন্মান্তরের সুপ্ত বেদনা, এ যেন তারই ফল,
অজানা পাপেতে দগ্ধিছে, একাকী অশ্রুজল।
কালের প্রবাহে ভেসে যায় সব, কেবল রহে স্মৃতি,
সে স্মৃতিই কাঁদায় অবিরত, অনন্তকাল ব্যাপী।
প্রণয়ের সে অধরা রূপ, সে যে এক বিভীষিকা,
ভাগ্যচক্রের দোহনে, বিধির এ কেমন লেখা!
অদৃষ্টির অসীম পথে, সে শুধু প্রচ্ছন্ন রহিল,
হৃদয়ের সকল আকুতি, অসীম শূন্যে মিলাইল।