সহজ কথা সহজভাবে বলা হলো না
তবুও ব্যথিত কালি
সাদা জমিনের পারে আইল দিতে গিয়ে
শব্দের বিন্যাসে
নিঃশেষ হতে ভালোবাসে !


কোনো এক বাবা
পাগলের মতো
তোর সর্বস্ব ভালোবাসা পেয়ে
শিকড়ের মতো পেঁচিয়েছে ;
তোর কচি আঙ্গুলের মুষ্টি
চোখের টিপরানো দৃষ্টি
ঠোঁটে লেগে থাকা গাঢ় প্রণয়
বিস্তীর্ণ মস্তকের মগজ
ঘন ছায়াবৃত অশ্বত্থের
খোলা জানালার
হুহু বাতাস !


তোর কচি মুখের দিকে তাকিয়ে
আমার সমস্ত  দিন শ্রাবণের কান্নার মতো
আনন্দাশ্রু হয়ে ঝরে পরেছে
বকুলের মালা হতে !


কোনো কাজ করতে গিয়ে
ভুলের সীমা
ঋণ করতে বিরত থাকেনি
আমার হৃদয় !


তোর সমস্ত শরীর আমাদের মানচিত্র
এই বিস্ময় আমি কখনো পেতাম না
যদি তোর আগমন না হতো -
এই অর্থে আমি-ই তোর কাছে ঋণী
তুই নস্ !


এ দুঃসময়ে তোর ভালোবাসা
আমাদের অপ্রত্যাশিত সুখ !


তোর জীবনের আলোক ফোয়ারায়
সমস্ত পৃথিবী স্নান করুক
এই প্রার্থনা করি !


উৎসর্গ : আমার সন্তানকে
( যে নাকি আমার এই কবিতার প্রথম শ্রোতা ;
যাকে আমি বুকে রেখে শুনিয়েছি। )


পুনশ্চ :
কেউ একজন আমাকে বলেছিলেন
সন্তানের জন্য ভবিষ্যৎ অর্থ জমা রাখতে হয়।
আমি জবাবে বলেছিলাম আমি আমার সন্তানের
জন্য হাজার বিশেক বইয়ের একটি গ্রন্থাগার রেখে যাবো ; কারণ আমি যখন থাকবো না তখন আমার
সন্তান বইয়ের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় বাবার স্নেহমাখা স্পর্শ
অনুভব করবে । বইয়ের  মতো আর কোনো দুর্লভ বন্ধু আছে কিনা আমার জানা নেই !


মেঘদূত
২৯/০৭/২১ ইং
সেন্ট্রাল হাসপাতাল
ধানমন্ডি, ঢাকা ।