নিঝুম স্নিগ্ধ ঘন আধাঁরের নিশিতে
ঝিনুক উড়ছে খাদ্যের সন্ধানে নভঃতে।
ঘাস ফড়িং লাফাচ্ছে এপাশে ওপাশে
করেছে খাদ্য সংগ্রহ নিজ আহরণে।


জীবন যৌবনে,জীবন সংগ্রামের পথে
তোমার তৃষ্ণার জ্বালা কে দিবে মিটে?
কেউ নাইরে ভাই, কেউ নয় তোমার সঙ্গী
নিজ হস্তে হবে মিলাতে তোমার কয়েদী।


পতঙ্গম প্রাণী লাফালে নক্ষত্রময় রাতে
বাঁধা হয়ে দাও কাঁটা, তুমি তাদের গল্পে।
তুমি যে আদম সন্তান আছে কি একথা মস্তিষ্কে?
এই হিসেব করিতে তোমার মগজ যায় গলিয়ে।


ক্ষুধার্ত কাক শুনে রেখো, বলছি হ্যাঁ তোমায়;
মেটাবে তোমার সকল জ্বালা দিবাচরে।
ভয় রেখো না ভীত হয়ো না,রেখো মনোবল
ভীতুরা কখনো করতে পারেনি নিখিল বিশ্বজয়।


স্রোত চলে নিজ বেগে, কবি লিখে কল্পনায়;
সূর্য্য উঠে পুবদিগন্তে,নিস্তেজে যায় পশ্চিমায়,
এসব শিক্ষার পাঠদান হয় কবির শিক্ষালয়ে।
জাতী ভাই তোমার জ্ঞাতার্থেঃ
এসব চিরন্তন সত্যের পঙক্তি বুনে ঔষধি মুক্তি।


রেখো এ সত্য পোঁতে মনের পরিসংখ্যানে,
হৃদচক্রে ধারণ করো ভাই আপন কার্যালয়ে।
নয় তো কেটে-কুটে খাবে মগজ ক্ষুধার্ত কাকে;
ঘাসফড়িঙ,ঝিনুক,পতঙ্গপাল বসাবে ভাগ এতে,
পরিশেষে খাবে চর্বি সকলে চেটেচোটে।
বলো ভাই তুমিই,আমার সত্য এটা নিবে মেনে কস্মিনকালে?
হে মানব,হে মনুষ্যজাতি এ সকল দর্শনের পূর্বে;
       হাতে রেখো হাত, বুকে মিলাও বুক,
      রক্তে মাংসে গড়া আমরা মানবকোষ।