মেনে নেই নিজের ক্ষুদ্রতা যত,
তবুও অপার বিষ্ময়ে ভবিষ্যতের প্রত্যাশা করি,
জানি সে কোন দাবাড়ু নয়, হাতে নেই কোন অরক্ষিত চাল।
তবুও আমি প্রানপনে ছুটি, অবিমৃষ্যতায় সরাই জঞ্জাল।
উন্মুক্ত ঊর্ধ্বকাশে শান্তির পায়রা ওড়ে, ঘোরে আর পাক খেয়ে নামে।
হৃদয়ের নৈঃশব্দ তবু শোনা যায়, অদুরেই কোন এক স্বর্গে গিয়ে থামে।
সেখানে এক হয়ে যায় সমগ্র মহাকাশ, দূর থেকে ডাকে নৃশংসতার কেউ।
আমার ভেতরে আঘাত গিয়ে লাগে, হৃদয় থেকে উপচে পড়ে শূন্যতার ঢেউ।
আমি তবু হাতে নিয়ে ছুরি, দাবার পরবর্তী চাল ভাবি।
দেখি আমার অদৃষ্ট্য কেঁপে ওঠে ভয়ে, কোথায় গিয়ে লুকায় সৌভাগ্যের চাবি।
আমি আমার কপালের কলার টেনে ধরি, নির্মমতায় জিজ্ঞেস করি কোথায় আছে বল-
মুচকি হেসে সিনেমার ভিলেন বলে, দেখি কোথায় গিয়ে গড়ায় কোথাকার জল।
পরবর্তী পদক্ষেপ ভাবি- কোর্টে বসে আছি আমি জীবন-দাবাড়ু,
যেখানে যত চর্ব্য চোষ্য আছে খেয়ে ফেলি, যেন নির্ভীক সজারু।