অনেক হেঁটেছি পথ।
দেখেছি সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়।
পেটের মধ্যে ঢুকে গেছে আগুন।
নিজের অজান্তে চুমু খেয়েছি নিঃসীম পাথরের বুকে।
তারপর হেঁটে হেঁটে পৌছে গেছি সেখানে
যেখানে কোন মানুষ নেই।
নেই গাছপালা, নদী ও ফুল,
কোন কোলাহল, শূন্যতা, নেই।
নেই বোধ, বেদনার তীব্রতা, মাটি।
মনের ভিতরের হাহাকার যত,
কোন শোক নেই, সুখও যে আছে তাও না।
সেখানে কোন ভুমিকম্পও নেই,
রিখটার স্কেলে মাপা হয় না গ্লানি।
পৌরাণিক মহাকাব্যের চরিত্রগুলো, নেই।
স্পাইডারম্যান, শার্লক হোমস ও অমাবস্যা,
বেলি ফুলের সাদা রঙ, এমোনিয়ার উৎকট গন্ধ কিংবা আমার বারন্দায় ক্যাকটাসের বোল।
দুই সেন্টিমিটার উঁচু হয়ে যাওয়া কিশোরের ভয়ার্ত চোখ,
বৃদ্ধের বেঁকে যাওয়া পিঠ,
ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো বা এন্ড্রোমিডা।
কার্ল স্যাগান, দা ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম, নেই।
সেখানে নেই কোন আইফেল টাওয়ার।
প্রেয়সীর স্তন, লিপ্সটিকে রাঙানো ঠোঁট বা গভীর কাল চোখ,
পিছন ফিরে দেখার মত মায়াময় স্মৃতি, নেই।
নেই সবুজ মাঠ বা বৃক্ষের সারি,
বেগুনী রঙের আলাদিনের জিনি, ক্লিওপেট্রা।
ইউক্যালিপটাস বা প্যারালাল ইউনিভার্স, নেই।
নেই সকালের প্রথম রোদ, আড়মোড়া ভেঙে ঘুম থেকে জেগে ওঠার স্বাদ।
সারাদিন না খেয়ে থেকে তারপর ধোঁয়া ওঠা সাদা ভাত
অথবা প্রথম দিনের স্মৃতি যেদিন বুঝতে পেরেছিলাম আমি বড় হয়ে গেছি।
সেখানে কিচ্ছু নেই, কিছুই ছিলো না কখনো।
সেখান থেকে ঘুরে এসেছি আমি।
জানি এর পরে আর কেউ কখনো যাবে না সেখানে।


সেখানে কি দেখেছি আমি?
ভয়!