আমার চোখের সামনে দেখেছি তোমাকে।
জানিনে সে তুমি ছিলে কিনা
নাকি তোমার মুখোশ পড়া অন্য কেউ?
কিন্তু ওই মুখোশের পিছনে যা ছিল তা শুধু তোমাকেই ব্যাপ্ত করে।
ওই চুল, ওই বেনীর ডগা, ওই স্থুল পশ্চাৎপট মরুর বুকে ঝর্ণাঝারা,
ছোট ছোট ওই তৃণভুমি, শঙ্ক্ষের মত তোমার মৃয়মান বুক, উন্নত পাঁজরে হীরার খনি।
তারপরও আছে তোমার মগজের ভেতর যেসব গুবরেপোকা
ঠিক তাদের মত গভীর কিছু ক্ষত
আমাকেও দিয়েছিল কিছু বিনোদন।
কিন্তু তবুও আমি শংকা করি তোমার মত দেখতে যে নারী অন্য পুরুষের সাথে লিপ্ত গোপন অভিপ্রায়ে
সে কি তুমি ছিলে?
ওই নীল চাঁদোয়ায় ঢাকা তোমার বুকে যে সুখ বর্ষিত হয়,
তোমার দেহটি জুড়ে যে জলপ্রপাত, তা কি মহাশুন্যের আর কোন গ্রহ থেকে এসেছিল?
ক্ষনিক প্রভার ন্যায় উজ্জ্বল তারকার দল এক এক করে নেমে আসে দূর আলোকবর্ষ হতে।
তারা নামে, পাক খায়, খাবি খায় তোমার শুন্যতায়,
আমি দেখি কোন ভ্রুকুটি দৃষ্টি ব্যাতিরেকে।
এরপর আস্বাদন করি যেই আকাশের নীল,
সে আকাশ আমাকে নিহত করেছে বহু আগে বজ্রের আঘাতে।
তোমাকে দেখতে পাই যে নীলে সে নীলে সিক্ত আমার মহালয়া।
আমি দেখি আন্তঃনগর ট্রেনে সওয়ার হও তুমি।
এবারের যাত্রা বহুদুরের পথ।
কিন্তু ক্ষনিকেই থেমে যাও, নেমে যাও, লোকালয় ছেড়ে দূরে।
নাগরিক সুবিধা ছেড়ে ঢুকে পড় কোন পাহাড়ী অঞ্চলে।
কেওক্রাডং চুড়ায় বসে পূরণ কর নিজের শূণ্যতাখানি
হাতে অর্ফিয়ুসের বাঁশি নিয়ে তৃপ্ত কর অনাদী ব্ল্যাকহোল।
এভাবেই আমি দেখি নীলাকাশ,
আকাশের পর্দার বুকে গীতনাট্যের পরবর্তী এপিসোড।
আমার শুধু ভয় হয় এ হয়তো তুমি ছিলে
বা অন্য কেউ।
কিংবা এ ছিল সেই গুবরেপোকা যার বীজ তুমি পুঁতেছো আমার করোটি জুড়ে।
বেখায়ালে আমি বের হয়ে যাই মহাশুন্যের ওয়ার্মহোল থেকে।
নীলাকাশে তোমাকে আবার দেখব সে সম্ভাবনা মাটিচাপা দেই নিজ হাতে।
এরপর কিছুটা সময় অতিবাহিত হলে ধাতস্ত হই।
যা হয়েছিল বিগত চৌদ্দ মিনিটে
তা আত্মস্থ করি।
এরপর নিজেকে কানেক্ট করি নতুন এক টাইম জোনে।
কিছুকাল অব্যাহতি দিয়ে জিরোই।
এক পা দু পা করে আবার এগোই,
আবার দেখি নীল, অন্য কোন শুণ্যতা, অন্য কারো বাঁশির সুর শুনি, এক এক করে ভেঙে ফেলি নিজের বিবেকের ব্যারিয়ার।
ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রকায় হতে থাকি কোন অনুশোচনা ছাড়াই।
বুঝতে পারি এ এক দুর্ভেদ্য সাইকেল।