সেই কোন সকালে মনের ভেতর
এক পক্ষীশাবকের জন্ম.....
দিন অনেকটাই গড়িয়েছে
পাখিটি উড়তে শিখেছে
শুধু কোনের একটি ঘর , ঘরের দেওয়াল
তীব্র প্রেমহীনতায় কাঁপছে….
একটানা বেসুরো গান শুনে
ধ্যান ভেঙে উঠে  এলেন
বিশুদ্ধ ঘরানা সঙ্গীত সাধক
'ঠিকসে সুর পাকড়ো বেটা
খুলা আসমান ওর এক পঞ্চি কা উড়ান'
বহুতল বাড়ির অনেকগুলো ঘর
উপর তলায় নিভৃতে  থাকেন প্রৌঢ় সাধক
আহ্নিকগতি দিন যায় , রাত আসে
ভালোবাসা দুঃখ শোক , সরল জটিল সম্পর্ক
স্বকীয়া পরকীয়া প্রেম, অসহায় মানুষ
বড়ো বেসুরে বাজছে সময়
খেয়াল মতো নেমে আসেন নিজস্ব ঈশ্বর
'ঠিকসে সুর লাগা   বেটা'
অথচ, সুরের চলন ছুঁয়ে ছুঁয়ে পাখিটার উড়ে যাবার কথা
গ্রীষ্মকালের  শহরে ভোরের আজান
মাঝরাতে শীতের শহর , জনমানবহীন
গির্জায় ঘণ্টাধ্বনি……


এক দীর্ঘ দিনের  উড়ান শেষে
মানুষ ঘুমোতে যায় একতলা র ঘরে
দেরাজে তালাবন্ধ গোপন সম্পত্তি
বৃদ্ধ সঙ্গীত সাধক জেগে থাকেন
পাখির চোখে ঘুম নেই
তাকিয়ে আছে নির্নিমেষ
শুধু ডানায় লেগে রইলো
অনাকাঙ্ক্ষিত কম্পন আর সুরের আবেশ ….