একদিন ভোরবেলা আয়নায় দেখলে
তোমার চিবুকে একটি নতুন তিল
পাখির মতন উড়ে এসে
ফিসফিস করে বলল
আজ থেকে আমি এখানেই থাকব
সারাদিন সারারাত ...


এক কলি গানের মতন অচেনা এক পাখির নাম
আচ্ছা, আমি তখন কোথায় ছিলাম?


একদিন ধূসর মেঘের ফাঁক গলে
ইস্কুল পালানো কিশোর এক ফোঁটা
নীলসায়রের জল ...


এমনিই
অবুঝ প্রেমের মতন
নাছোড় ঝুলে থাকবে
তোমার কপালে
ঝুড়ো চুলের ডগায়
পথ চলতি আলো এসে
জড়ো করবে
হলুদ আসমানী নীল  গোলাপী
আর কতো রং এর নাম
আচ্ছা, আমি তখন কোথায় ছিলাম


একদিন তোমার সব দুঃখ
জল সিঁড়ির পাড়ে এসে বলবে
আজ থেকে যদি
তোমার নাম হৃদি ...
তবে আমার কাছে রাখা
প্রজাপতিটির পাখা
তোমায় দিলাম
তুমি জানতে না বুঝি
আমি তখন কোথায় ছিলাম ?

একদিন আকাশের ছাদ ফুটো হয়ে
অঝোর শ্রাবণ ধারা
তোমায় বলল
সবার কাছেই বিচ্ছেদের গল্প থাকে
আমি  তোমার মনখারাপ ছুঁয়ে দিলাম
সেদিন থেকেই  তুমি আনন্দ
খরস্রোতা এক পাহাড়ী নদী
জলের সিন্দুকে লুকিয়ে রেখেছ
পথভোলা  পথিকের নাম


তুমি মানে হয়তো কোনো এক নাম না জানা স্টেশনে আমার  কোনো এক স্বপ্ন
আনমনে  ফেলে রেখে  
অন্যপথএ চলে গিয়েছিলাম
আজ এতদিন পরে তোমার জন্য এ কবিতাটি লেখা
পাথর চাপা সেই কষ্টের অনুভূতি


মূল্য ধরে দিলাম
সায়ন্তনের অলসবেলায়
মেঘসিঁড়ির তীরে বসে


হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলাম প্রেমের কবিতা