বিবর্তনের আবর্তন আজ ঘাতকের মত
বলুন কেন্দ্রে কে ??


এই বিবর্তন ঘটছে আমাদের বিবেকে ।।
আবর্তিত হচ্ছে সভ্যতা – চক্রের মতন,
ইট-পাটকেল আর রাইফেলে গড়া শাসন,
সভ্যতার অতি নিদারুণ রুপ যা।


বিবর্তনের গুলি লেগেছিল বুকে
আজ তা কলজে ভেদ করে চলছে,
এক সময় পিঠ ভেদ করে দেখবেন
সভ্যতা ধ্বংসের কথা বলছে।।


মানুষের ভাবনার জন্ম
সভ্যতার বহু আগে ।
ভুল বলা হলে ভাবুন
সভ্যতা গড়তে কত বছর সময় লাগে ।


পরিবর্তিত মানুষের রুপ সভ্যতাকে ভালোবাসছে,
সভ্যতাই কিন্তু আমাদের সংস্কৃতির কলজে শকুনের মত খুবলে খুবলে খাচ্ছে ।


যেদিন হারাবে আমাদের সংস্কৃতির চিহ্ন সেদিন আমাদের কি হবে  ! !
আগেহারাব ।।
তারপর ? আমরা কি চর্চা করব?
নাকি,শোষিত হব?


শোষণ হজম করবার ক্ষমতা সব জাতির নেই
তবে ? সংস্কৃতিহীন জাতির পরিচয় দেবে কে?


ধীরে ধীরে আবর্তনের চক্রে এক একটি দেশ—জাতি হারাবে শান্তির চিহ্ন,
কিছু কিছু হবে ধ্বংস ।  
সেখানে তখন বুঝবে না কেউ কারো ব্যাথা
দু-একজন বলবে মাতালের মতন শান্তির বুলি—কথা ।


হারিয়ে যাওয়া সব সন্তানেরা আর উঠবেনা জেগে,
কাঁদবে সকলে দুঃখ আর নিদারুণ আবেগে ।


কিছুই হবেনা ফল।
শুধু হবে যুদ্ধ ।
যুদ্ধ আর যুদ্ধ ।
ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশগুলোর উপর একে অপরের সাথে ।


বাঁচবে কিছু ।
বসে কাঁদবে হয়তো কোন ক্ষুধাতুর শিশু,
বলুন,তখন তাকে কোলে তুলে নিবে কে ?


এভাবেই আমাদের অজান্তে বিবর্তনের সভ্যতা আমাদের মারবে
নিশ্চিত নিরুপায় আমরা মানবো হার,
ফিরতে হবে আদিমযুগে
কিছু শিক্ষার মূল্য নিয়ে যেতে হবে অনেকটা পথ পিছু।


আবার তা আবর্তিত হবে চক্রের মতন
বলুন তখন কেন্দ্রে হবে কে ?