আমি খুব ছোট বেলা থেকেয় লেখা লেখি করি। আমার লেখালেখি ছিল কবিতা নির্ভর। কবিতা লিখতেই আমার বেশী ভাল লাগে। যখন আমি চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি তখন আমার প্রথম কবিতা লেখা। তখন আমার যে অভিজ্ঞতা হয় তা কিছুটা এই রকমছি... আমার মা আমার কবিতা পড়ে অনেক খুশি হয় এবং আমার বাবাকে বলে “দেখ রবিন কত ভাল একটা কবিতা লিখেছে” । আমার বাবা তখন বলে “ কবিতা তো ভালয় লিখেছে কিন্তু এখন তো তার লেখা পড়ার সময়, লেখা পড়া বাদদিয়ে কবিতা লিখতে বসলে জীবনে মানুয় হতে পারবে? তুমি (আমার মা কে) তোমার ছেলেকে বোঝাও কবিতা লেখার অনেক সময় পাওয়া যাবে লেখা পড়ার সময় পাওয়া যাবে না, সমনে তার পরিক্ষা এখন লেখালেখি বাদ দিয়ে পড়তে বসতে বল”। এতো গেল পরিবারের কথা আমার বন্ধু বান্ধব, বড় ভাই এমন কি প্রাইভেট টিউটর পর্যন্ত আমার লেখালেখি নিয়ে কটুক্তি করত। অথচ তখন আমার একজন ভাল মানুষ দরকার ছিল যে আমার লেখা গুলো পড়ে আমার ভুলত্রুটি গুলো সুধরে দিত আমাকে উৎসাহ অনুপ্রেরণা দিত। সমবয়সিদের উপহাস আমার অভ্যান্তরীন লজ্জাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আমি আমার লেখা কাউকে দেখাতে পারতম না। সবসময় আড়ালে গোপনে রাখতাম আমার লেখাগুলো। লেখা ছাপাড়ও তেমন কোন সুযোগ পায়নি। কারণ আমাদের দেশে ভাল কোন সাহিত্য পত্রিকা নেই। স্থানীয় কোন পত্রিকাতে সাহিত্যে স্থান অনেক কম। তবে আজ আমার জীবনে দুঃখ অনেকটা কমে গেছে বংলা কবিতায় যোগদিয়ে। এখানে অভিজ্ঞ লেখকদের মন্তব্য তাদের পরামর্শ আমার কবিতার ছন্দকে আবার আন্দলিত করেছে, আবার আমি নতুন করে লিখতে অনুপ্রানিত হয়েছি।