হে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্ত নারী
এতটুকু পথ একলা কেমনে দিবে পাড়ি!
যেথাই যৌবনসূর্য অস্তমিত
বিষাদের সায়ার প্রশমিত
ডুবিডুবি করছে জীবনের রণতরী.
হে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্ত নারী
এতটুকু পথ কেমনে দিচ্ছ পাড়ি
রৌদ্র পিছে তপ্ত পা
দেখেছে সবাই রঙ্গিন হাসি
দেখেনি কেও হৃদয়ের মাকড়সা.
হে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্ত নারী
আমি জানতে কি পারি?
কথা থেকে সে সূচনা,
কবে থেকে সে বেদনা,
সে শক্ত কাল অংস ধরাধরি.
হে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্ত নারী
এতটুকু পথ কেমনে দিচ্ছ পাড়ি
কেমনে তুমি যন্ত্রনায় পাথর,
কেমনে তোমার দেহ নিথর,
ফুটে উঠে এত হাসির কুড়ি!
হে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্ত নারী
এতটুকু পথ কেমনে দিচ্ছ পাড়ি
অন্ধকারে তুমি আর ওরা
দেখেছে সবাই তোমার ইশারা,
দেখেনি কেও...নয়নযে জলভরা!
হে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্ত নারী
এতটুকু পথ কেমনে দিচ্ছ পাড়ি
হাসিতে অশ্রুর নোনতা স্বাদ,
বুকে বিষাদের গিরিখাদ.
আর কত সইবে !
করবে, পাষণ্ড পশু কষাঘাত!
হে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্ত নারী
এতটুকু পথ কেমনে দিচ্ছ পাড়ি
যেথাই নিষ্ঠুর স্পর্শ
-সয়ে যায়,
হৃদয়টা করে মরিমরি
হে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্ত নারী
আমি জানতে কি পারি?
কেন সে লৌহদণ্ড হানিছ বুকে,
হানিতেছ কোন সে নিষ্ঠুর সুখে!
কবে সে আবেদন,
আর হৃদয়ের ক্রন্দন,
মাথা তুলে দাঁড়াবে রুখে?
হে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্ত নারী
আমি জানতে কি পারি?
বিষণ্ণ মনে,
চেতনে, অবচেতনে
দেহে কেমনে গো তোমার লাল শাড়ী ?
হে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্ত নারী
আমি জানতে কি পারি?
এতটুকু পথ একলা কেমনে দিবে পাড়ি!
হে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্ত নারী
আস!হাতে হাত ধরি
চলো! জাইগ পিছনে ফিরি
হে পথভ্রষ্ট, অভিশপ্ত নারী
আস! একসাথে মরি
অজানাতে দুজন হই সওয়ারি.