বাহিরে নিম্নচাপ, বৈরি হাওয়ায় উথাল-পাথাল সমুদ্রগর্ভ, দশ নাম্বার সতর্ক সংকেত, জীবনের মায়ায় সকলেই আপন আবাসস্থল ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে।
আমি সমুখ সমরে,নিজ চোখে অবলোকন করবো প্রকৃতির তান্ডবলীলা। মুখোমুখি হবো ফুঁসে ওঠা সমুদ্রের আকাশ ছোঁয়া ঔদ্ধত্য জলরাশির। হে আমার জীবন! ভয় পাচ্ছো..? দানবীয় এই তান্ডবলীলার সাথে তোমার লীলাও সাঙ্গ হবে ভেবে..?
নিজের শক্তির অক্ষমতা দেখে চুপসে যাচ্ছো ক্রমশঃ।
হা..হা..হা..আমার হাসি পাচ্ছে, সত্যিই আমার আনন্দ হচ্ছে তোমাকে পরাস্ত দেখে। হে জীবন..! বিষদৃষ্টিতে অমন করে কি দেখছো আমার পানে..? আমি কতটা নির্দয়..!কতটা পাষাণী..? হাসিমুখে তোমাকে ঠেলে দিচ্ছি যমদূতের হিংস্র থাবার গ্রাসে! হ্যাঁ, ঠিক তাই..  আজ আমি ক্রুদ্ধ  ততটাই যতটা না ঐ সৃষ্ট হওয়া সুনামি,
যার আঘাতে লান্ড ভন্ড পৃথিবী, তার চাইতেও ভয়ঙ্কর সুনামি চলছে আমার বুকের গহীন সাগর তটে।
হ্যাঁ, কে না চায় বাঁচতে, কার না মায়া হয় নিজের জীবনকে ভালোবাসতে,  আমিও চেয়েছি তোমাকে নিয়ে ছোট্ট স্বপ্নময় একটা পৃথিবী সাজাতে, কিন্তু তুমি..? একটু ভালো থাকার আমার সহস্র প্রচেষ্টাকে তোমার নিটোল পায়ে মাড়িয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছো বার বার। বলতে পারো,কি দিয়েছো তুমি আমায়?
আজ আমি শান্ত নির্বিকার চিত্তের ভয়ঙ্কর খুনি, জীবন তোমার ক্ষমা নেই, তাই আজ এই মহাপ্রলয়ে হাতে নির্দিধায় সোপর্দ করলাম তোমায়, ক্ষমা কোরো আমায়!
আমার শহরে ঘনায়েছে আঁধার বিভীষিকা বজ্র হানি
ওগো দয়াময় করি অনুনয়
তব বক্ষে লহ মোরে টানি।।