প্রায় মধ্যরাত! জেগে আছি! অকারণ!
ঘুম ফেরারি। আবার ঘুম আসলেও ঘুমোতে ইচ্ছে করে না।ঘুমোতে যেতে ভয় হয়।  ইদানীং এমনটি হচ্ছে। দিনের বেলায় নিজেকে রোবট বা যন্ত্র মানবী বলে মনে হয়। আর যখন রাত আসে,ক্লান্ত শ্রান্ত মন ফিসফিস শব্দে জানান দেয় "তুই মৃত"! চমকে উঠি। নিজের হাত,পা,কপাল পরখ করি, হ্যাঁ, সব তো ঠিক ঠাক আছে, শিরা ধমনীর ওঠানামা ঠিক চলছে, শরীরের উষ্ণতাও সঠিক মাত্রায় রয়েছে। তবুও কেন..কলিজার ভেতরটা এমন স্যাঁতস্যাঁতে..! অনুভবে মনে হয় একটা লাশ পড়ে আছে.. চোখ বুঁজতেই আৎকে উঠি ওটা আর কেউ নয় আমি..!!
হ্যাঁ, আমি মরে যাচ্ছি! একটু একটু করে। ধুঁকে ধুঁকে! মরণেরও কি খানিকটা মায়া হচ্ছে আমাকে তৎক্ষনাৎ গ্রাস করতে! পাথর দুটো চোখে মরনের দিকে তাকাই,
সে আমাকে রুক্ষ স্বরে বলে "যাও তোমার সর্বশেষ চাওয়াটুকু পূরণ করে এসো" এমন আদেশে আমার নিস্তেজ দেহের বুকের গভীর খাদে পড়ে থাকা হৃদয় জেগে ওঠে। তার সবটুকু জীবনীশক্তি সঞ্চয় করে বিদ্যুৎ গতিতে ছুটতে থাকে পৃথিবীময়, একটু ভালোবাসা চাই ! একটু ভালোবাসা চাই ..! এক মুঠো বা কয়েক ফোটা! মরন দূতের বেঁধে দেয়া সময়  দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ছুটতে ছুটতে আমার ক্লান্ত হৃদয় চিৎকার করে ফিরছে...  কেউ কি আছো... একটু ভালোবাসা দেবে.. শুদ্ধ নিখাঁদ এক ফোটা ভালোবাসা ! একটি বিশ্বস্ত হাতের একটু ছোঁয়া ! এক জোড়া নিষ্পাপ চোখের নির্বাক চাহনি,৷ এক জোড়া পবিত্র ওষ্ঠের গাঢ় নিবিড় চুম্বন! দুটো আশ্বস্ত বাহুর দৃঢ় আলিঙ্গন! যা মরনকে পরাস্ত করে দিতে পারে আমাকে নব প্রাণ সঞ্জিবনী নির্যাস। আমি বাঁচতে চাই..! আমি বাঁচতে চাই আরও ক'টা দিন, অন্ততঃ সেই চিরো প্রতীক্ষিত ভালোবাসা না পাওয়া অবধি। যা ছিলো আমার প্রাপ্য, আমার অধিকার, আমার একান্ত আকাঙ্ক্ষার!