দরজা খুলতেই মৃদুমন্দ হিমেল হাওয়া, গুরুগম্ভীর মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, বকুলের গন্ধে মেশানো আগরবাতির ঝাঁঝালো ঘ্রাণ, তোমার উঠোনে নিম গাছের মগডালে বার্তাবাহক কাকের অবিরত কা..কা..ডাক। এমনি এক শোকাবহ প্রভাত তোমায় আহত কন্ঠে জানান দেবে আমি আর নেই এই ধরিত্রীর বুকে।
অকস্মাৎ এমন বার্তা পেয়ে তখনি ছুটে আসবে কি ধেয়ে, আমার মুখখানি জন্মের মত একটিবার দেখবার তরে..?
দিন গড়ায়ে হবো ক্রমে গত, পড়বে কি মনে কভু ক্ষণে ক্ষণে স্মৃতি ছিলো আমার কত-শত।
পড়বে কি মনে, পাশাপাশি দুজনে নগ্ন পায়ে হেঁটেছি শিশিরে পা ভিজিয়ে, স্নিগ্ধ আবেশে মায়াবী কালে পৌষের সেসব ভোরে কুয়াশার ধূম্রজালে।
জমবে কি বুকে ব্যথার বরফ কভু সে কথা ভেবে,
ঘোর বর্ষায় ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে একগুচ্ছ কদম ফুল নিয়ে হাতে, হাসিমুখে দাঁড়িয়ে তোমার দরজায় ভেজা চুল ভেজা শাড়ীতে ।
আবির রাঙা গোধূলী সন্ধ্যায় পাখিরা যখন ফেরে কুলায়, কেটেছে প্রহর দুজনে মিলে আলো আঁধিয়ার মধ্যে মায়ায়।
ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখে রাত দুপুরে হঠাৎ উঠবে জেগে মনে পড়বে কি সেই রাতগুলো তুমি আমি আর চাঁদের আলো, ভীরু লাজে ডরে কাঁপা অধরে কেটে যেতো ক্ষণ প্রণয় অভিসারে।
কত হাসা- কাঁদা, গান কবিতা, আমি'ই হতেম তোমার মুগ্ধ স্রোতা, কত অনুরাগ কত ভুল ত্রুটি,
ঘটে যাওয়া কত আবেগী খুনসুটি, সে'সব ভেবে নয়ন কোলে জমবে কি মেঘ হবে ঝাপসা দৃষ্টি,
হৃদে জমানো চাপা ব্যথাগুলো ঝরবে হয়ে অঝোর বৃষ্টি...?