এইযে দেখুন, আমি একজন অসহায় পঙ্গু
কর্ম করার মত নেই কোন স্বচ্ছল অঙ্গ,
স্যার আমাকে একটু করুনা করুন
আমাকে দয়াকরে একটি টাকা দেন।
আহারের জন্য আমার কোন অর্থ নেই
ঘরে কোন খাবারও কিছু নেই।
বাবারা ভায়েরা একটা পয়সা দেন
আমি কিছু খাব, আমি খুব ক্ষুধার্ত
আপনারা আমাকে দয়া করেন
আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করবেন।


এমনি অনেক অসহায় ক্ষুধার্ত রুগ্ন মানুষ থাকে
বাসস্ট্যাণ্ড, লঞ্চ, রাস্তার মোড়ে, ফুটপথে
অথবা ঝকঝকে দামী শহরের গলিতে।
এইতো সেদিন দেখলাম পলাশীর মোড়ে
ছেড়া জ্বীর্ণবস্ত্র পরনে।


কেউবা উলম্ব শরীরে স্তুপাকারে আছে পড়ে
বাসস্থান আর একমুঠো ভাতের অভাবে,
সম্মুখে রয়েছে তাদের মত ক্ষুধার্ত কুকুর
ভিক্ষুকগুলো ক্ষিপ্ত কারণ ওরা ভাগিদার।
পঁচা বজ্র দূর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পাশে বসে
এক মহিলা পলিথিনে কী যেন খাচ্ছে,
নিশ্চয় সেগুলো এনেছে কোন ডাস্টবিন থেকে
পাশদিয়ে সভ্য মানুষেরা যাচ্ছে কাপড় মুখে চেপে।


একদা গাবতলীর বাসটার্মিনালে
বসে আছে এক ভিক্ষুক মা
দুটি ছোট শিশু নিয়ে
হাতে এক টুকরো রুটি, নিজে না খেয়ে
ছোট মেয়েকে দিল অর্ধেক
অন্য মেয়েটাকে দিচ্ছে অর্ধেক।
খালি শরীরে ছোট মেয়েটা
ছেড়া হাফপ্যান্ট পরনে,
উঠে গেল চোখে জল মুছে অভিমান করে
অর্ধেক রুটি খাবে না বলে।

রচনাকাল: ০২।১১।২০১২ ইং
দৈনিক চাঁপাই দর্পণ, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং