গ্রীষ্মের তীব্র খরতাপ তুমি দেখেছো হয়তো
হয়তো বা দেখনি
বৃষ্টির ন্যয় অঝরে ঝরে অনবরত অগ্নি
তাপমাত্রা ভয়ংকর,একেবারে তিতাল্লিশ ডিগ্রি;
তুমি দেখেছো? দেখেছো সেই দৃশ্য?
পৃথিবীর বুক লাল হয়ে ফেটে যাওয়া,
তার উপর হাঁটতে গিয়ে পা পিছলে যায় ধরনীর বুকের ভিতর।
তুমি না দেখলেও আমি দেখেছি,যন্ত্রনা সয়েছি
আর বয়ে নিয়ে ঘুরেছি,শুধু ঘুরেছি
তোমার খোজে, ক্রুসবিদ্ধ ফাটা চৌচির বুক নিয়ে
অভিমানি হয়ে তোমার দেয়া প্রচণ্ড খরার তাপে।


অতঃপর একটু প্রশান্তির ছোঁয়া
মেঘ বালিকার দেখা,যেন একটু শীতল ছোঁয়া;
কেননা অভিমানির ফিরে আসা,
আমাকে দেখ তুমি,কত খুশি আজ আমি
আমি যেন আনন্দ জলে, জোয়ারে ভাসছি।
তোমার ফিরে আসাতে যেন ছেড়া কুঁড়িটি আবার ফুটলো
ঝড়ে ভাঙা ডালে আবার নতুন পাতা গজালো।
আমার আকাশে উঠলো সুসজ্জিত পূর্নিমা চাঁদ
পৃথিবীর মরুতে জেগেছে যেন সবুজ দূর্বা ঘাস;
তোমার ফিরে আসাতে আমি আবারও প্রাণবন্ত
এতোদিন ছিলাম মৃতের রাজ্যে ঠাণ্ডা ঘরের লাশ।
আমি ফিরে পেয়েছি আমার উচ্ছৃঙ্খল যৌবন
আগের মত সেই অট্টোহাসি,এখন আমি আকাশ দেখি,
তোমার ফিরে আসা আমাকে দিয়েছে নাব্যতা
তোমার স্পর্শে হয়েছি যেন চিরসজিব
এতদিন ছিলাম নিঃপ্রাণ, নির্জিব।


রচনাকাল: ২৬।০৮।২০১৬ ইং