আমি বাঙালিজাতি;
বীরত্ব মিশে আছে রক্তে, দেহ-মন অস্তিত্বে
স্বপ্নের ঘোরে আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলো
একটি বর্বর অসভ্য নেকড়ের দল।
আমি সম্ভবত ঘুমের রাজ্যে স্বর্গপরীদের রোমান্টিকতা পেতে উন্মুখ হয়ে অচেনা কোন রেল লাইনের উপর আলতো পায়ে হাঁটছিলাম;
জোসনাকে অনুসরন করে।


ওরা আমাকে অতর্কিতে পিছন থেকে চোখ বেঁধে ফেলে কালো কাপড়ের ভাঁজে,
দু'হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে পায়ে শিকল লাগিয়ে দাঁড় করিয়ে দেয় রেল লাইনের উপর।
সহসায় নেকড়ের অট্টহাসিতে কাঁপতে লাগলো লোহার পাটি আর প্রতিটি টুকরো টুকরো নিঃপ্রাণ পাথর,
আমার বুকের উপর দিয়ে নিমেষেই চালিয়ে দিলো ট্রেনের সারিবন্ধ বগিগুলো।


ছিঃ, মৃত্যুর ভয় কি পেয়েছি কখনও?
ওরা জানতো না মৃত্যু আমার সহদর,
রক্তমাখা লালসালু আমার বীরত্ব,
প্রকৃতির সবুজ রং আমার মায়ের আঁচল।
মিথ্যে দুঃস্বপ্ন আমাকে দমাতে পারে না
বরং এই স্বপ্নই আমায় জাগিয়ে তোলে
রক্তের একেকটি ফোটার বিনিময়ে অর্জিতে
একেকটি ধূলি-মাটির কণায় গড়া আমার সোনার বাংলাদেশ।


আমি বাঙালিজাতি;
মৃত্যুর ভয় অনেক আগেই আমার ললাট ভেদ করে গেছে।


রচনাকাল: ০১।১২।২০১৮ ইং
দৈনিক চাঁপাই দর্পণ, ০৭ জানুয়ারি ২০২১ ইং