সোনার চামচ মুখে জন্ম হয়নি আমার
কখনো প্রয়োজন পড়েনি,
প্রথম সংসারে বাবা উপার্জন করেছেন
ভ্যান বেয়ে, সংকট দেখিনি।
তা থেকেই পরিবার চলেছে কিছু উদ্বৃত্বে-
তিনকাঠা জমিসহ বাড়ি,
আমাকে অনার্সপাস, দু'বোন মেট্রিকপাস
ওদের বিয়ে, গহনা শাড়ি।


ছোট বোনটা এখনো ষষ্ঠশ্রেণীতে পড়ছে
বাবার টাকায় সব চলে
চব্বিশ বছর তার পকেট কেটে চলেছি
এখনো চলছি ছায়াতলে।
বাবা এখন অসুস্থ! আজো চলে উপার্জন
ভ্যান ছেড়ে সব্জি বিক্রি করে
তার জীবন সংগ্রাম চলছে এভাবে নিত্য
থামে শুধু আলসার, জ্বরে।


আমি চাকুরি করছি বছর দেড়েক হলো
নামের চাকুরি কামে নয়,
যা মাইনে পাই তাতে নিজেরই চলছে না
শুধু পকেট খরচা হয়।
পড়ে আছি কতদিন যদি স্যার মর্জি করে!
একটু উপরে তুলে দেন,
অনেকেই আছে গ প ঙ তে মাত্রা দিয়ে লেখে
পঞ্চাশে হয়তো ঘেমেছেন।


হিংসে নয় কষ্ট পাই, হয়তো সরল বোকা-
আমি! তা না'হয় আনস্মার্ট,
তাতে বোধ হয় পিছে কাগজের ভারে নয়
বার বার হই ডিজকার্ট।
যাহোক কাসুন্দি গেয়ে লাভ নেই সেটা জানি
এমন অপদার্থ ক'জনে?
শূন্যতা ভরা ভূবন শূন্যে ভাসি সারাক্ষণ
নিরাশার এ বিজন বনে!


শিমুল হোসেন শূন্য আমি, শূন্যতায় বাস
তাই শূন্য ভালোবাসি, শূন্যের হয়েছি দাস!


রচনাকাল: ২০।০৬।২০১৯ ইং
দৈনিক চাঁপাই দর্পণ, ১৫ জানুয়ারি ২০২১ ইং