পৃথিবী আজ চুপ, মুখে ঘৃণার কালো ছাপ
গাজার গলিতে শিশুর কান্নায় ভেসে আসে অভিশাপ।
রক্তে রাঙানো বালুচরের বুকে জ্বলছে আগুন,
ইরানের ভোরে ফুঁসে ওঠে বেদনার অসীম ফাগুন।
পাঁজরের নিচে চাপা পড়ে হাজার নক্ষত্রের মৃত্যু
ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের নিদারুণ ক্ষতচিহ্ন।
রাতের নিঃশব্দে ফুসফুসে ঢোকে বোমার বিষ,
দুচোখে মেলে নির্বিকার দেখে যায় বিশ্ব—
আর কত ত্রাণবিধ্বংসী হবে বিশ্বাসঘাতক চক্র?
ধূসর হয়ে আসে ভূমি, আর বৃক্ষেরা শান্তি ফলাচ্ছে না
জেরুজালেমের পাথরে শুয়ে আছে মাতৃজঠর,
যার কোল খালি, সোনালী স্বপ্ন ডুবেছে ঝড়ের তীরে।
শিশুদের গলায় ফাঁস, মায়ের বুক থেকে ছিনিয়ে নেয় জীবনের গান,
সব কিছুতে এক অসহনীয় দুঃখের মূর্তি গড়ে ওঠে।
বেনিয়ামিন—তুই এক জারজ রক্তের মুখোশধারী
তোর চোখে আমেরিকার ডলার, বুকে পুষে রাখিস আগুন।
তোর পেছনে দাঁড়িয়ে হাসে ন্যাটোর ধূসর ছায়া,
যারা শুধু শিশুদের হাড় কুড়ায়, মায়ের রক্তে রাঙায় বুনো বাঁধার মায়া।
ইজরায়েল—তুই অবৈধ রাষ্ট্রের নোংরা নোটবুক
যেখানে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা জুড়ে জেনোসাইডের ভুল বানান।
আর আমেরিকা—তুই সভ্যতার টুপি পরে, অথচ ভিতরে অসভ্যের জন্মদাতা।
তোর বুটের তলায় পিষে ফেলেছিস স্বপ্ন ও মানব জীবন।
তবুও একদিন, এই নীল আকাশ বমি করে দেবে
সব পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের দলিল, ব্যথার দাগ আর অপরাধের ইতিহাস।
ফিলিস্তিনের কাঁদতে থাকা কন্যা তখন
একটি ডালিয়া হাতে নিয়ে ভোরের পথ ধরে হেঁটে যাবে
সেই ভোরে কেউ আর নেতানিয়াহুর নাম নেবে না,
তবুও বাঁচবে মানবতার অমলীন গান।
২১.০৬.২০২৫