ত্রাণের চাল লুট করেছিল যে জানোয়ারগুলো,
গেছে দিন তাদের বিচার বসেছিলো ,
ন্যাড়া বটতলায়,
পাশেই শীর্ণ শীতলক্ষ্যা,
ওপারে কাশবনের সারি ,
এপারে মৃত্যুর চাপা গোঙানি,
হাত বাঁধা জানোয়ারগুলোকে মানুষের মতই দেখতে ,
তবে ওদের বুকে মানুষের মত মাংসের প্রলেপ নেই,
দূর থেকে গুনেছি পাঁজরের আট দশটা হাড়,
আর চোখহীন কোটর,
বিচারে দশ চাবুকের রায় দিয়েছিলেন দয়ালু চেয়ারম্যান,
বাতাস কেটে শব্দ করে চাবুক,
টু শব্দটি নেই কোথাও,
জনতা গোনে এক দুই তিন চার,
টু শব্দটি নেই কোথাও,
হয়তো জানোয়ারগুলো কাঁদতে ভুলে গেছে বহুদিন আগে,
সেখানেই আজ মোমবাতি জ্বেলেছি আমি,
এটাই পারি আমি বা পেরেছি।


বিচার কর্তার উঠোনে তুমুল হৈ চৈ,
ত্রাণের চালে সরকারী বনভোজন,
জানোয়ারগুলোর গায়ে শুকনো রক্ত,
জমেছে উঠোনের শেষে,
সরকারী বনভোজনের উচ্ছিষ্ট নিয়ে ,
চলে যাবে দিগন্তের ওপারে।