দাদী, দেখো,
ছেলেটা সারাক্ষণ হাত পা নাড়ছে
ও আমার পেটে থাকতেও আমাকে লাথি মারতো;
আমি ঘুমালে লাথি মেরে জাগিয়ে দিতো।


ময়না, তুই কী বলছিস
পবিত্রতার প্রতীক নিষ্পাপ শিশুটি তোর সন্তান
তোর দেহের অংশ।
যা, ওকে কোলে তুলে নে মায়ের আদর দে।
আমি পারবো না, কাছে গেলে ও আমাকে জড়িয়ে ধরবে!


প্রথম সন্তান কোলে এলে বিশ্ব ভাসে,
মায়ের উল্লাসে।
এ মায়ের কি হয়েছে?
কেন সে দাঁড়িয়ে আছে নিরাপদ দূরত্বে?
কেন বাতাস ভারী হয়েছে তাঁরই অভিযোগে?


বাল্যবিবাহ,
মা শিশু, সন্তানও শিশু।
ক্ষুদে মায়ের মন চলে চায় শৈশবের খেলায়
খুলে দে পায়ের শিকল!


(কবিতাটি সত্য ঘটনার একটি ক্ষুদ্র চিত্র। সংসারে অভাব অনটন, মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে মেয়েকে বিয়ে দেয়া তারপর মা হওয়া। জন্মদাত্রী এ মায়ের মধ্যে মাতৃত্বের অভাব নিজের সন্তানের হাত পা নাড়া দেখে সে চমকে উঠে, সন্তানকে কোলে নিতে ভয় পায় এমনকি শিশুটির সাথে এক ঘরে একা থাকতে নারাজ। সন্তানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থানটি হচ্ছে মায়ের কোল। সে মায়ের কোলটি আজ কম্পিত আতঙ্কিত কার দোষে? বয়স ষোল/আঠারো না হওয়া পর্যন্ত মানুষকে শিশুই বলা হয়, সে অর্থে এ কবিতার মাও একজন শিশু)