এখন সকালগুলো আর, আগের মতো, পেলব রোমান্টিক নেই।
গরম চায়ের কাপ হাতে, দুরুদুরু বুকে হাত বাড়ায়;
টেবিলে পড়ে থাকা, আপাত নিরীহ খবরের কাগজের দিকে।


আজ তবে, কোন মায়ের কোল খালি হলো!
প্রেমাস্পদকে কথা দিয়েও, কার তবে আর ঘরে ফেরা হল না!
বাবাই-এর জন্য মিষ্টি আনবে বলেছিল অফিস-ফেরৎ মা -
রক্তের ঘ্রাণ পাওয়া মাছিরা, এখন ভনভন করছে সেই মিষ্টির উপর!


একেক জন একেক দোষে দুষ্ট-
কারোর মগজ খুঁচিয়েও মেলেনি আল্লার নাম,
কোথাও বা অন্ত্র ঘেঁটে হদিস মিলেছে গোঘ্নর।
ওচানো বন্দুকের নলের সামনে, কেউ আওড়াতে পারেনি ঈশ্বর প্রেরিত মন্ত্র।
কোথাও বা ‘জয় শ্রী রাম’ উল্লাসে,  ঢাকা পড়েছে জ্বলন্ত নর-নারীর শেষ চিত্কার।


আচ্ছা, আমি এত বিচলিত কেন এসবে?
এরা তো আমার কেউ নয়!
এ কি কেবল মানবতাবোধ, সহমর্মিতা?
নাকি মনের গভীরে কোথাও আশঙ্কা -
আশঙ্কা, নিজের সমপরিনতির সম্ভাব্য দৃশ্যে!


কী তবে দোষ হবে আমার?
নামাজ পড়িনা আমি। আমি কাফের!
নাকি, গোস্ত্ খাই - গোরুর গোস্ত্!


ঠাণ্ডা চায়ের কাপ হাতে, মনে মনে ঝালিয়ে নি -
ছোটো বেলাই মায়ের কোলে মাথা রেখে শেখা কলেমাটা।
নিজের অজান্তেই, অনভ্যস্ত জিভে বিড়বিড় করে উঠি -
'ভারত মাতা কি জয়'।