বিষন্নতার আড়ালে থমকে আছে পৃথিবী,
মহাশংকার তিমিরে আচ্ছন্য মনোহর কায়া।
সৃষ্টির সেবায় বহমান বাতাস, মেঘালয়ের জলপতন
ও ঊষাপতির কোমলতা সুদ্ধ,
শরিত্রীর গগন ফাটা উল্লাশ আর
উল্কাপিন্ডের মত ছুটে চলা গতি, সব রুদ্ধ।
কে নিবে এর দায়?


ফিলিস্থিনে আজও স্বজন হারা আর্তনাদ,
অনাথ শিশুদের কলজে পোড়া গন্ধে দূষিত ইরাক।
সিরিয়ার শহীদ শিশুটির কথা ভুলোনি তো?
যে বলেছিলো, আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো!


এ্যালান কুর্দিকে মন থেকে তুলোনি তো?
নিষ্পাপ ঠোটের বিবর্ণ হাসি যেন বলছিলো,
আমি এ অন্যায়ের প্রতিশোধ নিবো।


হয়তো তারা প্রতিশোধ নিয়েছে,
আমাদের পাষবিকতা, নিষ্ঠুরতা, নির্মমতার কথা,
স্রোষ্টাকে সব বলে দিয়েছে।


কাটা তারে ঝুলন্ত ফ্যালানীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার,
আজও বাংলার বাতাশে গুঞ্জরিত হয়।
লাশের উপর নৃত্য করার চিত্র দেখেছো তো!
যেন ‘মানুষ খুনের’ এক মহা আত্নাভিমান জয়।


দেখো, ক্ষমতার দাপটে মানব হত্যার কত আয়োজন,
রাইফেল, ট্যাংক, কামান যেন ক্ষুদ্র অস্র
রাখো পরমানু, হাইড্রোজেন! আরো শক্তি প্রয়োজন।
তাই খুজছে মারনাস্র তৈরীর নিত্য নতুন শাস্র।


হঠাৎ থমকে গেছে সব।
শোঁ শোঁ বাতাশ বইছে, তবে নির্মলতা নেই।
রোদ্র খাঁ খাঁ করছে, কোন অনুকম্পা নেই।
পিশাচরা এখন আর খিলখিল করে হাসেনা
শহরের ব্যস্ত রোডে বৈভবের হুইসেলও বাজেনা।
অদৃশ্য এক ভাইরাসের ভয়ে সব নিরব, নিশ্চল।


হাসপাতাল করিডরে দীর্ঘ মিছিল,
লাশের পর লাশ।
কী বিভৎস চিত্র!
চেনা-অচেনা কেউ পাশে নেই।
নেই কোন মিত্র।
তাই মগজ খামছে ধরেছে,
মরনাতকেংর অকটপাশ।
কে নিবে এর দায়?


বিশ্বজুড়ে কভিড উনিশের থাবা,
খোদার ক্রোধের বহিপ্রকাশ।
জীবন পালনে ধরেছি কুরআন কিবা
ঐশী বাণীকে করেছি কী বিশ্বাস?


তিনি বলেছেন, তোমরা শান্ত পৃথিবীকে অশান্ত করোনা।
আমরা দাঙ্গার অনলে দগ্ধ করেছি সব।
পুড়িয়ে ছারখার করেছি মানব আস্তানা।
মজলুমের আহাজারীতে উল্লাশ করেছি
ভেবেছি কখনো, এত অন্যায় কী সইবে রব?


তিনি বলেছেন, তোমরা অনুগত হও। আমার বন্ধু মুহাম্মাদকে
দিলের বদ্ধ কুঠরীতে আগলে ধরো মমতায়, মুগ্ধতায়।
আমরা গালি দিয়েছি,
পুষ্পের পাপড়িতে মিথ্যা লিখেছি কবিতার ছন্দে ছন্দে।
উপেক্ষার প্রতিকি বানিয়েছি।
বেদনার ফানুষ উড়িয়েছি মুসলিম মুমিনের রন্দ্রে রন্দ্রে।


তিনি বলেছেন, ইনসাফ কর।
নিষ্ঠাবান হও, কৃপার দর্জা খোলো।
আমরা তার বার্তাবাহীদের বন্দি ও গ্রেফতারে মেতে উঠেছি।
রিমান্ডের নামে করি অমানুষিক নির্যাতন,
আঈনের ফাকে করি মিথ্যার বীজ রোপন।
বলেছেন, যাকাত প্রদান কর,
আমরা অনাহারীর পেটে আঘাত করি,
বলেছেন, সালাত কায়েম কর,
আমরা মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির গড়ি।
স্রোষ্টার সিকলও যে আমার কাঁধে, তা যেন একদম ভুলেগেছি।


এসব অন্যায়ের অভিশাপে পৃথিবী আজ স্তব্ধ
বাঁচার আকুতি ছাড়া কোথাও নেই কোন শব্দ।
কে নিবে এর দায়? এ দায় আমার, এ দায় আপনার।