সারি সারি অর্ধেক চাঁদের আলোয় ধাপে ধাপে অন্ধকার আসে
সাথে নিয়ে একফালি বৃষ্টির শরীর,
শাড়ি খোলা শরীর, মলিন জল শরীর;
মুক্ত উল্লাস, সানন্দ মেজাজ, সবকিছু।


তারপর…
খাপখোলা বৃষ্টিও হেঁটে যায় খণ্ডে খণ্ডে
অন্ধকারের ঘুমপাড়ানির ঝোঁকে! অহরহ!
আলোও কাঁধে মাথা রেখে চলে,
নিচু মাথা উঁচু মাথা হতাশ মাথা সব মাথা।
পৌঁছেও যায় প্রতিষ্ঠান ভবনের দরজায়।
খেকো মাটটির পর সম্ভবত সেটি সভাস্থান;
উপদেশ-গ্রন্থ কেনাবেচা হয় যেখানে
কম দামে বেশি দামে, সহজ দামে।


কিছু গৃহপালিত বিবশ মানুষ ভিড় করে দাঁড়িয়েও সেখানে
হাতে হিজিবিজি ফেস্টুন;
কথা নেই হাসি নেই শুধু চোখে উমেদের ছোঁয়া।
আছে অরব চত্বরে কয়েকটি কান্নার ঘণ্টার ধ্বনি আর নিশ্চুপ হৈচৈ!
এখানেই বিষাক্ত বাতাস রয়ে যায়,
বৃষ্টির শ্বাস থেমে যায়, আলোও দাঁড়িয়ে পড়ে।


কিছুদিন পর…
ওই ফেস্টুনও চলে যায় বিষন্ন মুখে নিশ্বাসের দূষণে,
প্রত্যাশী ধ্বস্ত হয় আরও একবার!
সেই কবে জন্ম নিয়ে গ্যাছে কাস্তের হাত, ডানহাত বামহাত –
বিনা হাতুড়ি মেরে কোনও তারার স্বপ্নের দেশে,
লাল দেশে, সিন্ধুর অন্ধ নগরে।
যদিও হলদে ঘাস সবুজও হয়নি,
ফুল ফোটেনি – ঘাস ফুল তিন ফুল চার ফুল
শ্বেতকমলও জল পাইনি কানাগঙ্গা শ্মশানের মাঠটির ‘পরে!
কয়েকটি নীল-ভূত আজও সেখানে জোনাকের মতন উবু হয়ে পড়ে আছে,
হামাগুড়ি খায়, দৌড়ায় হেঁটে যায়, ডানা ছিঁড়ে যায়!
ওড়া হয়নি! –
দলছুট উল্কার মতন আকাশের বুকটিকে চিরে,
বাতাসের কোলে পোকার মতন পাখির মতন
অথবা কোনও খসা পাতার মতন!


ওরা যে বীরদাস না বীরের দাসী বোঝা হয়ে ওঠেনি!