আমার ফুসফুসের ফাঁকে ফাঁকে চুপচাপ ফিরে এলো
ধ্রুপদী গলিপথের রাজনীতির মায়া আর ধর্মের গোঁড়ামি;
আর প্রতিটি কোষের মাঝে মাঝে খাস্তা বাতাস, কিছু বিজ্ঞাপন!
কিছু খিদেও আছে, যদিও তা কোনও রুগ্ন ভিখারির নয়,
ওয়েলিংটনের চারমাথায় মরে যাওয়া ট্রামলাইনের নয়,
উঁচু ফুটপাতে সবুজ ডাস্টবিনটির পাশে শুয়ে থাকা মানুষটির নয়,
বুকে টানা কোনও রিকশাওয়ালারও নয়!
কিছু সারিবদ্ধ প্রলম্বিত খিদে, কিছু আজানা নতুন খিদে,
কাগজী ব্যালটের খিদে অথবা ঐ বোকা যন্ত্রটির বোতামের খিদে!


আমি চাহিদার হজম শক্তিও হারিয়েছি ধীরে ধীরে সাইপ্রাসের মতো!


বিশপের পাশে চলা কালীমন্দিরের গেরুয়া কাপড়ের পুরোহিত
আর সেন্ট পলস্‌ ক্যাথেড্রালের ঘণ্টাধ্বনি শুনতে আসেনা!
নাখোদা দরগার ইমাম টুপি পরে আর মন্দিরের আরতি দ্যাখে না!
বড় সঙ্গত সাহিবের দরজা খোলা, তবুও –
ঐখানে আর দূরের আজানের সুর ভেসে আসে না!
আমিও তো আমাদের মতোই, তোমাদের মতোই
ছোট ছোট রাহিত্যের ছোট ছোট ফুসফুসের অক্সিজেন,
ছোট ছোট ভালোলাগার ছোট ছোট এক এক কোলকাতা।


শুককীটের রেশম ছিঁড়ে ঘোলা বিস্ময় ঠিকানার খোঁজে যেতে চাইনা!