কর্মব্যস্ত কোলাহল মুখর দিন হয় অবসান
জগত জুড়ে নেমে আসে নীরবতা শুনশান,
পরিশ্রান্ত দেহ-মন খুঁজে তখন প্রশান্তির ঘুম
সহসা নিদ্রাদেবী নেত্রযুগলে এঁকে দেয় চুম।
রাতের অন্ধকার হয় গাঢ় থেকে গাঢ়তর
বিছানায় লেপটে থাকে মানব শরীর নিথর,
মহান আল্লাহ মানবের তরে করেছেন সৃজন
ক্লান্তি নিবারক ঘুম আর রাত্রি তার আবরণ।
যে মুনিব দিয়েছেন ঘুমের মতো নিয়ামত
কৃতজ্ঞতায় ক’জন করি নিশীতে তার ইবাদত?
নির্বাক যামিনীর নিস্তব্দতায় হোকনা প্রেমালাপ
মহান মুনিবের সনে খুলে হৃদয়ের সকল ঝাঁপ।
অজু করে ঋজু হয়ে আদায় করুন তাহাজ্জুদ
মন গহীনে উঠবে তখন ঐশী প্রেমের বুদবুদ,
অবনত মস্তকে জমিনে লুটিয়ে পড়ুন সিজদায়
রিক্ত হৃদয় সিক্ত হবে মহান রবের করুনায়।
ফরজের পর সবচাইতে মর্যাদাকর এই তাহাজ্জুদ
যার কারনে প্রিয়নবীকে দিলেন মকামে মাহমুদ,
মহান স্রষ্টার নৈকট্য লাভে যদি হতে চান ধন্য
তাহাজ্জুদ পড়ুন নিয়মিত মনোবাসনা করতে পূর্ণ।
তাহাজ্জুদ শেষে পড়ুন দরুদ প্রিয় নবীর তরে
অনন্য এক প্রশান্তিতে অন্তঃকরণ যাবে ভরে,
গুনাহর ডালি মেলে দু’হাত তুলুন প্রভুর সনে
কপোল বেয়ে অশ্রু যেন ঝরে নির্বিণ্ন মনে।
জীবনের যত অভাব-অনটন, দুঃখ আর দূর্দশা
নিবেদন করুন রবের তরে নিয়ে মনে ভরসা,
মহান আল্লাহ! তিনি পরম করুণার আধার
করবেন ক্ষমা যদি মোরা হই তাহাজ্জুদ গুজার।