চলিতেছে সার্কাস!
যাদের মস্তকে কয়েক ছটাক ঘিলু আছে—
তারা জৈবসারে ভরপুর মাথাগুলোতে পুঁততে ব্যস্ত
স্বার্থের ফলদায়ী বৃক্ষের বীজ।
নিত্যদিনের পরম পরিচর্যায় বীজ থেকে গড়ে উঠছে বোধহীন বৃক্ষ।
ধর্ম, সততা, মানবিকতাকে পুঁজি করে কিছু বকধার্মিক
এবং চেতনাকে পুঁজি করে কিছু ভণ্ড
বোধহীন বৃক্ষের নিচে রোজ বসায় জলসা।
মেকাপের আড়ালে ঢাকা পড়ে বকধার্মিকদের কুৎসিত চেহারা।
ভরা মজলিসে নিয়ন আলোয় মুখাখানা বড্ড নুরানি দেখায়।
আমরা মাথামোটারা বলি, ‘ আহা কী ভীষণ আল্লাহ্‌র আশেক,
জান্নাতের মেহমান নিশ্চয়ই!’
জৈবসারে পুষ্ট মাথাগুলোর মাথায় কিছুতেই ঢোকে না
ওই মগজওয়ালা লোকগুলো আমাদের মগজধোলাই করেই চলেছে।
মৃত্যুর পরের জান্নাত-জাহন্নমের ফয়সালা দিতে এসে
সে নিজেই মৃত্যুর আগে দুনিয়াবি জান্নাতের বন্দোবস্ত করছে।
কোর‌আনকে তারা হস্তে ধারণ করছে, বুকে নয়।
কোর‌আনের বাণীকে কণ্ঠে ধারণ করছে, অন্তরে নয়।
রাজা-বাদশা-নবাবের মতো নিজে জীবনযাপন করছে
আর, শিক্ষা দিচ্ছে নবি-সাহাবিদের জীবনাদর্শ।
নিজের হৃদয়ে শয়তানের প্রতিমূর্তি গড়ে—
অপরকে বলছে, ‘ তোমার দাড়ি কই মিয়া?’
হে লালসালুর মজিদ, অন্যকে যতই বোকা বানাও
নিজেকে কী জবাব দেবে?
একদিন সব পর্দা হয়ে যাবে ফাঁস।
চারিদিকে চলিতেছে সার্কাস!


২৭.১১.২০২১ খ্রি.
কুষ্টিয়া, বাংলাদেশে।