ঘরবন্দি এই ইদ একদিন ইতিহাস হবে
করোনাময় ইদ একদিন স্মৃতিতে হবে অম্লান।
আজি হতে শতবর্ষ পরে কেউ হয়তে বলবে-
এমন এক ইদ দেখেছে পৃথিবী, যে ইদে-
বহু মা তার সন্তানকে পায়নি কাছে।
সন্তান হয়তো আটকে গেছে লকডাউনের ফাঁদে।
প্রিয়া তার প্রিয়জন ছাড়া, সন্তান তার বাবা-মা বিহীন
উদযাপন করেছে পানসে একটা ইদ।
বহু মানুষ পায়নি নতুন জামা, নতুন আরও কিছু
অভাব-অনটন ক্ষুধার জ্বালা ছাড়েনি পিছু।
যে ইদের নামাজ হয়নি কোনো ইদের মাঠে
মলিন বদনে পড়তে হয়েছে নামাজ মহল্লার মসজিদে
যে ইদে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো যায়নি জামাতে
ভয়কে মাঝে জায়গা ছেড়ে দিয়ে
তিন ফুট দূরে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়েছে নামাজ।
নামাজ শেষে হয়নি কোলাকুলি, হয়নি কুশল বিনিময়
দূর থেকে শুধুই বলতে হয়েছে "ইদ মোবারক"।
যাওয়া হয়নি প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরতে কোথাও দূরে
অজানা মৃত্যু ভয়ের কাছে পরাস্ত হয়ে।
একটি জীবানুর কাছে নতি স্বীকার করে
গৃহকোণেই খুঁজতে হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়।
অন্তঃপুরে বাস করে হাতড়াতে হয়েছে প্রিয়জনের মুখ।


ঘরবন্দি এ ইদ একদিন ইতিহাস হবে
আগামী প্রতি ইদেই হয়তো শোলাকিয়ায় বৃহৎ জামাত হবে
মোনাজাতের দোয়ায় নিশ্চয়ই আমরা বলব
এ রকম করোনাময় ইদ আমাদের আর দিও না, প্রভু।


আমরা আজ নিষ্ঠুর ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে চলেছি-
সেজন্য আমাদের মাশুলও কম দিতে হয়নি
চাপা কষ্টকে কাফনে মুড়িয়ে বুকেই দিয়েছি দাফন
বুকে কষ্ট, আর মুখে হাসি নিয়ে করেছি ইদ উদযাপন।