চাই না আমি আর কবি হতে
যখন কবিতা আমাকে ষোড়শীর মোহনীয় বক্ষের মতো
চৌম্বুক আকর্ষণে কাছে টানতো
তখন আমি দিতে পারিনি সাড়া।
জীবন আমাকে তাড়া করে ফিরেছে সর্বক্ষণ
কবিতার আহবানে সাড়া দেওয়ার ফুসরত হয়নি-
জীবনের রৌদ্রদগ্ধ বালুচরে মরীচিকার পিছে
হেঁটেই চলেছি উদ্ভ্রান্ত পথিকের মতো
পাইনি জলের সন্ধান; কিন্তু আমার জীবনীশক্তি
তিলে তিলে করেছি ক্ষয়।
জীবনের তিরিশটা বসন্ত পার করে, এখন আমি আর,
বসন্তের কোকিলের মতো তোমার কাছে কোন মুখ নিয়ে ফিরে যাবো বলো?
তুমি কি আর আমাকে তোমার প্রেমিক হিসেবে হৃদয়ের মণিকোঠায় যায়গা দিতে পারবে? পারবে না জানি।
তাই আমি আর তোমার প্রবঞ্চক প্রেমিক হিসেবে,
বসন্তের স্বার্থপর কোকিলের মতো,
তোমার কাছে ফিরে যেতে চাই না।


কবিতার খাতা শোনো, লেখনির কলমসহ তোমাকে লেখার টেবিলের এক কোণে দিলাম রেখে-
তোমাকে ছুঁয়ে দেখবো না আর কোনোদিন।
তোমাকে ছোঁয়ার, তোমাকে পাওয়ার অধিকার আমি দীর্ঘমেয়াদি ইজারা দিয়েছি;
ফিরে পেতে আর চাই না, কষ্টই বাড়বে জানি শুধু শুধু।
আমি আর কবি হতে চাইব না কোনদিন
চাইব না কোনদিন কবিতার প্রেমিক হতে।


কবিতা, তুমি তোমার অকৃতজ্ঞ প্রেমিককে ক্ষমা করে দিও।
আমি বাকিটা জীবন তোমার বিরহ বুকে নিয়ে,
তোমাকে ছাড়া একাকিত্ব এ জীবনে ছটফট করে,
পানসে এ জীবনের বাকি পথ একাই হাঁটতে চাই।