দীর্ঘতম রজনি কাটিয়েছি তোমায় ভেবে
কবে তুমি সংগোপনে কাছে ডেকে নেবে?
স্বপ্নমহল সাজিয়েছি বাহারি কারুকাজে
তুমি রাখলে মাথা অন্য বুকে বধূর সাজে।
সাইবেরীয় পাখির মতো আমি গেছি ছুটে
প্রেমের উষ্ণতায় হৃদয়ের শীতলতা যাক টুটে।
শীতের জীর্ণতাকে পিছনপানে ছুড়ে ফেলে
যোগ দিতে চেয়েছি রোজ তোমাদের দলে।
প্রজাপতির ডানায় উড়িয়ে হাজারো স্বপন
করতে চেয়েছি সোনালি দিনের বীজ বপন।


আমার যৌবন দিয়ে পৌষের এহেন দুর্দিনে
মাততে চেয়েছি বসন্তের মিষ্টি রৌদ্রস্নানে।
তোমায় নিয়ে নিশুতি রাতের মিষ্টি অভিসারে
তারার আলোয় ভিজতে চেয়েছি প্রাণ ভরে।
তুমি বসন্তের কোকিলের মতো ছুটে অন্য ফুলে
তোমার গন্তব্য তুমিই বেমালুম গেলে ভুলে।
দীর্ঘতম বিনিদ্র রজনী করে আমায় উপহাস
রাত্রির রং কৃষ্ণগহ্বর হয়ে করতে চাই গ্রাস।
ডুবিয়ে মারতে চাই নিষ্ঠুর মহাকালের অতলে
দিনশেষে তবে কি প্রিয়— তুমিই জিতে গেলে?


সভ্যতার অশ্লীল বাতাসে শুধুই বিষাক্ত কার্বন
বুকভরে নেব ভালোবাসার শ্বাস সেটুকুও বারণ।