আমার মা বেঁচে আছেন, অশীতিপর বৃদ্ধা।
কদিন পর পর সেলফোনে আমার খোঁজ নেন।
আমিও ফোন করি।
ছোটবেলা থেকেই মাকে 'আম্মা' বলি, তুমি বলেই ডাকি।
ফোন করেই খোঁজ নেন, আমি কেমন আছি?
ছেলে আর ছেলের মা ভালো আছে কিনা জানতে চান।
আমি জানতে চাই তাঁর বাতের ব্যথা কমেছে কিনা;
শ্বাসকষ্ট হয় কিনা এখনো।
ঔষধপত্র সময়মতো খান কিনা।
খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করেন তো।
জানতে চাই, বাসার অন্যরা কেমন আছে।
এসব গতানুগতিক কথা বলেই সবসময় কথা বলা শেষ হয়।
জানা হয় না, একাকিত্ব তাঁকে কতোটা গ্রাস করেছে;
কিংবা আমার পরলোকগত আব্বাকে ছাড়া তাঁর সময় কিভাবে কাটে।
বৈষয়িক বিষয়েই সীমিত হয়ে পড়েছে আমার দৃষ্টি।
মা'র মনের ভিতরে ঢোকা হয় না কখনো।
তেরো সন্তানের জননী, অনেক নাতি-নাতনী।
সবাই তাঁর আদর-স্নেহ পেয়েছে।
আগলে রেখেছেন নিজ হাতে গড়া সংসার।
ছেলেমেয়েদের আলাদা সংসারে ইচ্ছে হলে ঘুরে আসেন।
স্বামীর ভিটা সবচেয়ে প্রিয় তাঁর।
বটবৃক্ষের মতোই ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন আমাদের।


(মহান আল্লাহতায়ালা আমার মাকে নেক হায়াত দরাজ করুন। আমিন।)


রচনাকাল: ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯