আমি লিখি যাতে মানুষের মন প্রাণ পায়-হয় উদ্বুদ্ধ।
শব্দের পরে শব্দ সাজাই যেন তা না হয় দুর্বোধ্য।
কঠিন কথাটি সহজেই যাতে বিবেকের দ্বারে কড়া নাড়ে।
সেই আশা নিয়ে লিখে যাই যেন অসুখীও সুখ পেতে পারে।
কতো দুখু মিয়া পর্বতসম দুঃখ নিয়েও হাসে অবিরাম।
দেশ ভালোবেসে ফাঁসির মঞ্চে হাসিমুখে প্রাণ দেয় ক্ষুদিরাম।
ভাষা শহীদেরা রক্ত দিয়েছে মাতৃভাষার মায়া-মমতায়।
আসাদের শার্ট রক্তে ভিজেছে শোষকের হীন বর্বরতায়।
একাত্তুরের লাখো শহীদ আর সম্ভ্রমহারা কন্যা-জননী
একাকার হয়ে বুকের জমিনে দাঁড়িয়ে রয়েছে -বিজয় সরণি।
অলখে আমার কাঁধে ভর করে জীবনানন্দ কবি সুকান্ত।
প্রেম দ্রোহ আর ভালোবাসা নিয়ে আমার এ মন কখনো অশান্ত।
বিশ্বকবির প্রেমের আকুলতা সাড়া তোলে আজো বিশ্বময়।-
আমার বুকের প্রেম-যন্ত্রণা তারি মাঝে গিয়ে বিলীন হয়।
ফিরে ফিরে দেখি কৈশোরে দেখা নদী মাঠ ঘাট গাছ-গাছালি।
চন্দ্র তারকা ভোরের সূর্য শিশির বিন্দু পউখ-পাখালি।
ভীড় করে সব হৃদয়ের পাড়ে-নিরন্তর করে আনাগোনা।
নতুন কিছুতো নয় তবু ঘুরেফিরে একই কথা বলা-বারবার শোনা।
মনের গহীনে রয়েছে সবারই হাজার লক্ষ স্মৃতির বাসা।
হাসি-কান্নায় সারাটি জীবন বেঁচে থাকে মনে প্রেম-ভালোবাসা।
এসব নিয়েই আবেগী মানুষ লিখে রেখে যাই গান আর কবিতা।
ভবিষ্যতে টিকে রবে নাকি কালের গর্ভে হারাবে সবি তা!
মানুষের চির কল্যাণে যাতে কিছু কাজ করে যেতে পারি
সেই চেষ্টাই করে যেতে চাই-এ ক্ষুদ্র প্রয়াস চিহ্ন তারই।


রচনাকাল: ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮