তুমি তো আমার ফিরে যাওয়াটাই শুধু দেখলে!
কি অন্তহীন কষ্ট হৃদয়ে ধারণ করে আমাকে চলে আসতে হলো তা যদি জানতে!
তুমি কি জানো, নজরুল কেনো নার্গিসকে ছেড়ে এসেছিলেন?
বাসরশয্যাও তাঁকে আটকে রাখতে পারেনি।
নার্গিসকে ভুলতে পেরেছিলেন কবি?
দেবদাস-পার্বতীর গল্প পড়োনি? শ্রীকান্তের?
শরৎবাবুর জীবনের কোনো প্রতিচ্ছবি খুঁজেছো সেখানে?
রবি ঠাকুরের জীবনে কাদম্বরী দেবীর স্থান কতোটুকু?
জানি না। জানি না কিছু। কিচ্ছু জানি না আমি।


শুধু জানি জীবনের চাওয়া-পাওয়া, স্বপ্ন, সাধ সেদিনই বিসর্জন দিয়েছি
যেদিন তোমার প্রেমকুঞ্জ থেকে শূন্য হাতে বেরিয়ে পড়লাম।
নিঃস্ব রিক্ত আমি। কিছুই ছিলো না আমার  যন্ত্রণা ছাড়া।


বিশ্ব জুড়ে খ্যাতি হবে।
যন্ত্রণার হলাহলে জন্ম নেবে অজর কবিতা, কালজয়ী গান।
লিখে রেখে যাবো আমার জীবনের এপিটাফ।
মিল্টন, শেক্সপিয়র, বোদলেয়ারের সাথে আমার নাম উচ্চারিত হবে হাজার বছর।
শিল্প সাধনায় বিলীন হয়ে যাক্ আমার জাগতিক জীবন. সুখ, সুবিধা।
মুক্ত রবো তোমার ভালোবাসার মোহ থেকে।
তোমার বাহুডোর, অনন্ত প্রেম তুচ্ছ করে পথে নেমেছিলাম।


নিজেকে পুড়িয়ে অমর হওয়ার সে সাধনায় আমি অনুত্তীর্ণ।
সব হারিয়ে এক যাযাবর জীবন বয়ে চলেছি একা।
দেবদাস তো তবু পার্বতীর কাছে পৌঁছেছিলো শেষতক।
শুধু একবার তোমাকে দেখার আর কৈফিয়ত দেবার প্রচেষ্টাই আমার এখোনকার এ অনন্তমুখী যাত্রা।
শেষ কোথায় আমি জানি না!


রচনাকাল: ঢাকা, ২৫ অক্টোবর ২০১৮