এমন এমন সব বায়না ধরো না!
তুমিই ঠাণ্ডা মাথায় বলো সবার সব বায়না মেটানো যায়, না, সম্ভব?
তুমি যখোন বলো,'ফুল হও'।
আমি ভেবে পাই না কোন ফুল হবো।
কালো গোলাপ হই।
আমি জানি, কালো গোলাপ তোমার পছন্দের।
খুশিতে ডগমগ হয়ে উঠো তুমি।
হেসে ফেলো।
হাসলে তোমার গালে টোল পড়ে।
নাকের ডগায় তিলটা চিকমিক করে জ্বলে আলোর দ্যুতিতে।
হঠাৎই চোখ বুঁজে আকাশ হতে বলো।
আমি নীল আকাশ হই।
তুমি আমার নগ্ন বক্ষে আঙুল ছুঁইয়ে তারা গুনো।
এক...দুই...তিন...
খুঁজে ফিরো ধ্রুব নক্ষত্রটি, যেখানে তোমার নাম লিখা আছে।
এসব বায়না মানা যায়।


যখোন বলো,'এই আমি তোমার পৃথিবী হলাম।
শুয়ে আছি, তোমার আকাশের দিকে চোখ রেখে।
আমার মাঝে খুঁজে নাও, কাঞ্চনজঙ্ঘার সর্বোচ্চ জায়গাটি।
উঠে এসো সেখানে। উড়িয়ে দাও বিজয় নিশান।'
আমি লজ্জা পাই।
একজন কুমারী নারীর শরীরে কি করে হাত রাখি!
গিরিখাঁজ বেয়ে উদ্দাম নদীর মতো আমাকে নেমে যেতে বলো তোমার পালল উপাত্যকায়।
কখনো মসৃণ, কখনো ঢালু আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে নীল সমুদ্রের প্রান্তসীমায়।


সাগরের বেলাভূমিতে নেমে নোনাজলে পা রাখতে বলো।
তথাস্তু।
অতপর অতলস্পর্শী মহীখাদে ডুব দিতে বলো আমাকে।
আমি লজ্জায় মরে যাই।
স্থির সিদ্ধান্তে অটল তুমি।
তোমার এ বায়না কি করে মিটাই?


রচনাকাল: ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর ২০১৮