আমি বিপুল বিস্ময়ে দেখি নিজেকে একান্তেই।
বদলে যায় সময়ের সাথে নিজের অজান্তেই।
দেহ আর মন বেঁচে আছে একই সাথে ঠিক।
আধিপত্য কম কার, আর কারই বা অধিক
আমার উপরে? বুঝতে পারিনা মোটে, ভ্রম হয়।
তছনছ করে দেয় সবকিছু কখনো হৃদয়।
কখনো আমার এ শরীরখানি সিংহের মতোন
হিংস্র হয়ে উঠে আদিমতায়। হেরে যায় মন।


ডুবে থাকি প্রকৃতির মাঝে।ফুল,পাখি,নদী,মাঠ,
পাহাড়, প্রজাপতি খুলে দেয় হৃদয়ের বন্ধ কপাট।
অপ্সরী হয়ে তুমি উড়ে আস' দূর নক্ষত্র হতে;
ভেসে আস' যেনো রঙ আর আলোকের স্রোতে।
আমার হৃদয়ে তোল' কিসের মাতম! কি গানের সুর
কর্ণকুহরে বেজে উঠে? নেচে উঠে মনের ময়ুর।
গভীর আবেগে তোমাকে দুবাহুর আলিঙ্গন-পাশে  
বেঁধে রাখি। শব্দ থাকে না কোনো শ্বাস-প্রশ্বাসে।


হঠাৎ কোথা থেকে আসে ঝড়োহাওয়া। ভেঙে দেয়
নিরবতা।কম্পন তোলে দেহে বিদ্যুতের ন্যায়।
উত্তেজিত সমস্ত শরীর আদিমতায় মেতে উঠে।
তোমাকে জড়িয়ে ধরে উন্মাদের মতো। ঠোঁটে
ঠোঁট চেপে কিসের বার্তা দিয়ে যায়। ভেঙেচুরে
করে খানখান।ভালোবাসা চলে যায় দূরে বহুদূরে।
গোলাপের সুগন্ধ কোথায় হারায়! ক্ষতবিক্ষত
নগ্ন আক্রমণে।তুমিও জড়িয়ে ধরো আমারই মতো।


ভালোবাসার দুটি রূপ থাকে।মন আর দেহের বাসনা
ভিন্ন হতে পারে;জীবনেরই মাঝে করে আনাগোনা।
মনকে ছাপিয়ে যায় শরীর কখনো। মনেরই ভিতর
বাসা ভালোবাসার; প্রেমের জন্য কাঁদে অন্তর!


রচনাকাল: ঢাকা, ১৮ নভেম্বর ২০১৮