যেখানে তুমি আছো
সেখানে আর কেউ থাকবে না-এটাই স্বাভাবিক।
তোমার আভিজাত্য!
দুয়োরানীর স্থান নেই তোমার প্রাসাদে।
মুকুটহীন রাজা তটস্থ সবসময়।
রানী হতে গিয়ে আত্মাকে দিয়েছো বিসর্জন।
ভুলে গেছো রক্তমাংসের শরীরে একটা হৃদয় থাকে।
হৃদয়ের মাঝে থাকে তুলতুলে নরম একটা জায়গা।
দেখা যায় না।
একদা সেখানে শুয়ে সুখনিদ্রা যেতেন রাজা।
ছিমছাম। রজনীগন্ধার ঘ্রাণ।
সুরেলা বাঁশী বাজতো।
নিজেই পরিচর্যা করতে।
এখোন অস্বাস্থ্যকর।
খেয়াল রাখার ফুরসৎ কই!
গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত থাকো।
হুকুম-হাকুম দিতেই সময় চলে যায়।


দিনে দিনে খাওয়াপড়া আর সাজগোজের মধ্যেই ঘোরপাক খাচ্ছে জীবন।
রজনীগন্ধার স্টিকের জায়গায় এসেছে দামি ফ্লাওয়ারভেস্। কৃত্রিম বাহারি ফুল।
উৎকট কড়া সেন্ট।
কোথাও যেতে হলে দামি পারফিউম মাখো।
অনুগত রাজা হন সহগামী।
কেতাদুরস্ত তিনিও।
তার হৃদয়ের নরম জায়গাটাও পুরোনো রাবারের মতোই শক্ত হয়ে গেছে।
চর পড়েছে মনে-
এক সময়ের স্রোতোস্বিনী যমুনার মতো।
বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গেছে শৈশব, কৈশোর আর উঠতি যৌবনের চাওয়া-পাওয়াগুলো।


তোমার স্মরণে আসে না কোনোদিন এক রাজপুত্র
সামনে এসে লাল গোলাপ হাতে হাঁটু গেড়ে বসে
বলেছিলো কিনা 'ভালোবাসি।'
অতঃপর যার পাণি গ্রহণ করেছিলে তুমি।


রচনাকাল: ঢাকা, ২৪ অক্টোবর ২০১৮