ছাগল নাচে খুঁটির জোরে; কুত্তা নাড়ায় লেজ;
বিকেল বেলায় সূর্য হারায় দুপুর বেলার তেজ।
বকধার্মিক মৎস্য ধরে সাধুর লেবাস পরে;
ধর্মকর্ম শিকায় উঠে জালিম লোকের ঘরে।


নেকড়ে বাঘের ইচ্ছে হলেই ভেড়ার পরান যায়;
মূর্খ নেতার বকবকানি শুনলে হাসি পায়।
চামচাগিরি করে লোকে বানায় টাকাকড়ি;
লজ্জা তারা পায় না, সবাই বলে,'মরি, মরি।'


আকামকুকাম করে বেড়ায় অমানুষের দল;
মানুষ মেরে ষন্ডারা সব ফেলে চোখের জল।
নেতার হাতের আঙুল চুষে চামচা বলে,'ভাই,
লুটেপুটে দাও না এনে, চেটেপুটে খাই।'


আমজনতার গাছের আমে কাউয়া ঠোকর মারে;
আদরসোহাগ দিলে বানর বসে এসে ঘাড়ে।
গুরুমারা বিদ্যা শিখে গুরুর চেলার দল;
গুরুর পাছায় মারতে লাথি, সবাই বলে,'চল্।'


তালুক ছাড়াই দাঁড় বেয়ে যায় তালুকদারের পোলা;
ঘোড়ার মুখে লাগাম দিয়ে সামনে ঝুলায় মুলা।
ভুত বসে রয় সরষেদানার পেটের মধ্যিখানে;
কলুর বলদ তেল বানাতে কাঠের ঘানি টানে।


রচনাকাল: ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর ২০২২।