বাঈজী নাচে না এখন;
রাজা বাদশার রঙমহল নেই।
জমিদারি নেই;
নেই সেই বাগানবাড়ি।
ঝাড়বাতির জৌলুস নেই;
দেয়ালে লটকানো নেই বনেদী তাসবীর।


আগের দিনের জলসাঘরও নেই;
নেই ঘাগড়া, দোপাট্টা আর বেলোয়ারি চুরির বাহার।
নর্তকী নাচে না আর;
ঠুমরি আর মুজরার তালিম হয় না 'মা'জীর অন্দরমহলে।


তাই বলে নাচ থেমে নেই;
দৃষ্টিনন্দন আধুনিক হলরুমে নাচের আসর বসে।
আধুনিক কারুকাজ আর আলোর কারিশমা;
সাউন্ডসিস্টেম আর মডার্ণ সিম্ফোনীর অপরূপ সমন্বয়।
টাকাওয়ালা মানুষদের বিনোদন;
যার টাকা আছে সেই যেতে পারে।


রাতভর নেচে চলে ডল আর প্রিন্সেস;
উন্মুক্ত শরীরের বাঁকে বাঁকে বিনোদন।
দর্শকসারিতে উত্তাল উন্মাদনা;
উত্তেজনায় শিস্ দেয় কেউ কেউ।
কোনো একক রাজা-রাজপুত্রের দখলে নেই আসর;
সমঝদার হাইরেটেড টাকাওয়ালা আর ক্ষমতাবান।


দামী ব্রান্ডের হট ড্রিংক আর বাজীর ঘুটি যুগলবন্দী;
নাচে গায় একসাথে।
প্রিন্সেস নেচে চলে;
টাকার নোট উড়ে বাতাসে।
রাতভর চলে নাচ;
চরম উত্তেজনা।


চন্দ্রমুখী নেচে চলে;
কটাক্ষ দৃষ্টি হানে।
দেবদাস বসে থাকে;
ভুলে যেতে চায় পার্বতীর কথা।


রচনাকাল: ঢাকা, ২৫ মার্চ ২০২৩।