দুষ্টু মেয়ে।
ডুবসাঁতারে একবার পুকুরের এপার থেকে ওপারে যায়।
আবার ওপার থেকে এপারে।
আমি ছুটে চলি ডাঙ্গায়-পাড় ঘেঁষে।
ছুঁতে পারি না তাকে।
কি করে ছুঁবো?
আমার যে পানিতে নামতে মানা!
সাঁতার জানিনে।
যদি ডুবে যাই।
ওই আমাকে দিব্যি দিয়েছে।


ডুবসাঁতারের একেকটা মূহুর্ত যেন হাজার বছর।
অজস্র লাল গোলাপের পাঁপড়ির ঝরে যাওয়া।
আমার প্রতীক্ষার কোটি দীর্ঘশ্বাস। উত্তপ্ত।
কখনোই বুঝতে চায় না।
শরীর ডুবিয়ে রাখে পুকুরের শীতল পানিতে।


লাল পদ্ম নীল পদ্ম ফুটে আছে।
আমাকে এনে দিতে বলি।
খিলখিল করে হাসে।
বলে,'দূর থেকে দেখ'।
আমি রেগে গিয়ে বলি,'বেশ। চললাম।'
আমার চোখে চোখ রেখে বলে উঠে,
'তাহলে কখনোই পুকুর থেকে উঠবো না আর।
ডুবে যাবো।
পদ্মফুল হয়ে পূনর্জন্ম নেবো।
ভেসে থাকবো এই পদ্ম পুকুরে।
তোমার ইচ্ছেগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে আমার পাতায়।'
আমি বলি,'পদ্মপাতা পানি ধরে রাখতে পারে না।
গড়িয়ে পড়ে যায়।'


নিঃশব্দে উঠে আসে পানি থেকে।
হাত বাড়িয়ে দেই।
বুকে বুক রাখে।
অঝোরে কাঁদে।
আমিও কেঁদে ফেলি।


রচনাকাল: ঢাকা, ২৪ অক্টোবর ২০১৮