আকাশ থেকে নামলো এসে পরী;
দূর্বাঘাসে করলো গড়াগড়ি।
চারদিকে তার আকাশ ভেঙে পড়ে;
আমার দুচোখ উঠলো নড়েচড়ে।


পরীতো নয় অবাক করা ছবি;
দেখেই আমি হয়ে গেলাম কবি।
স্রোতের মতো ছন্দ এসে গেলো;
ভাবনাগুলো ভাসলো এলোমেলো।


এসব দেখে পরী ডেকে বলে,
'ভুলাতে চাও আমায় ছলেবলে?
পারবে না তা, আমি শক্ত মেয়ে;
এই পৃথিবীর সকল মেয়ের চেয়ে।'


বলি, 'তুমি কোন্ বাগানের ফুল?
মেঘের মতো কাজলকালো চুল!
পথ ভুলে কি আসলে আমার বাড়ি;
কখোন জানি আকাশে দাও পাড়ি!'


কথা শুনেই খিলখিলিয়ে হাসে;
'আসলে যখোন বসোই এসে পাশে'
বললো আমায় একটুখানি থেমে।
আমার শরীর উঠলো তখোন ঘেমে!


'দূর থেকে রোজ একটা ছেলে ডাকে;
আবার ছুটে মেঘের ফাঁকে ফাঁকে।
তার পেছনে দৌড়ে ছুটে আসি;
তাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি।


খুঁজতে তাকে এলাম পৃথিবীতে;
তাকে পেলে সঙ্গী করে নিতে।
তোমার মতোই দেখতে অবিকল;
তুমিই বুঝি নিত্য কর ছল?'


শুনে আমার অবাক হওয়ার পালা;
পড়াতে চায় আমার গলায় মালা!
আমি যখোন ধরতে গেলাম তাকে;
ঘুম ভেঙে যায় পাখপাখালির ডাকে।


রচনাকাল: ঢাকা, ২৩ আগস্ট ২০২০