কতোটা ঝড় সইতে পারে একটা লাউয়ের ডগা;
কতোটা অযত্নে বেড়ে উঠতে পারে বুনোফুল!
কী নির্মম হতে পারে স্বজনহারা মানুষের জীবন;
কতোটা বেদনা নিয়ে বেঁচে থাকেন শহীদজায়ারা!


মুক্তিযুদ্ধে স্বামীহারা একজন ইফাতন বেওয়া;
বুলেটবিদ্ধ স্বামীর রক্তে ভেসেছে বুকের আঁচল।
যৌবনে হারিয়েছেন ভালোবাসার মানুষটাকে;
খেয়ে না-খেয়ে কেটেছে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।


সমাজ দেখেনি, দেখতে যায়নি সমাজপতিরা;
ঘি আর মাংস খেয়ে মেদ জমেছে তাদের শরীরে।
ক্ষীণ হতে ক্ষীণতর হয়েছেন ইফাতন বেওয়া;
জাতির পিতার চিঠি যত্নে রেখেছেন পঞ্চাশ বছর!


জাতির পিতার স্বীকৃতি তাঁকে দিয়েছে গৌরব;
সমাজ দেয়নি সসম্মানে বেঁচে থাকার অধিকার।
একজন ইফাতন বেওয়া কবে হাসবেন তৃপ্তির হাসি;
স্বাধীনতার সুফল কবে পাবেন সবহারা বঞ্চিতরা!


একজন ইফাতন বেওয়া নয়, হাজারে হাজার;
কোটি মানুষের ভীড়ে ভীষণ একাকী, স্বজনবিহীন।
দ্রোহে আর বিদ্রোহে, ভালোবাসায় এবং আশায়;
আমার বিমুগ্ধ স্বাধীনতা কোথায় লুকালে তুমি!


রচনাকাল: ঢাকা, ০৭ জানুয়ারি ২০২২।