আসলে কি তাই!
মেঘ হয়ে তোমার পাশাপাশি হাঁটি আমি!
বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দেই তোমার সমস্ত শরীর।
গভীর প্রশান্তিতে ভরে উঠো, শীতল হও হঠাৎ আলিঙ্গনে।


ওটা দৃষ্টিভ্রম;
মতিভ্রমও বলে ওকে।


মেঘ কাঁদে না কখনো;
ঠান্ডায় জমে থাকা স্বচ্ছ পানির পিন্ড কাঁদবে কি করে!
মেঘেদের দেশে কোনো দুঃখ নেই, কষ্ট নেই, ভালোবাসাবাসিও নেই;
শীতল হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো শুধু।
হঠাৎ ঘূর্ণিতে, উষ্ণ বাতাসে, চাপে আবারও পানিতে মেঘের রূপান্তর ঘটে;
ভারী ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে পড়ে পৃথিবীতে।


কখনো খরস্রোতা নদীর মতোই মেঘ থেকে ঢল নেমে আসে;
ভাসিয়ে দেয় মাঠ, ঘাট, ঘরবাড়ি, পাহাড় কিংবা সমতলভূমি।
জলাভূমি ভরে উঠে নাব্যতায়;
ঊষর মরুর বুকে প্রাণের স্পন্দন জেগে উঠে।
উদ্ভিদ আর প্রাণিকূল জীবন ফিরে পায়;
ওরা প্রাণ খুঁজে পায় হতাশার মাঝে।


এটুকুই।
তোমার আর আমার মাঝে এটুকুই মেঘের যোগসূত্র।


যে তুমি আমাকে হারিয়ে দিয়েছো, যে তুমি হারিয়ে ফেলেছো আমাকে,
সেই তুমি আর আমি এই পৃথিবীতে দুই প্রান্তেই হয়তো কাটিয়ে দেবো বাকী জীবন।
আবারো দেখা হতে পারে, নাও পারে;
স্মৃতিই শুধু আমাদের হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার কথা বলে যাবে।
ফুরিয়ে যাওয়া প্রেমের কথা মনে পড়বে স্মৃতিভ্রষ্ট না হওয়া অবধি;
মরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।


ঐ মেঘ, পাহাড় বা নদী;
ওদের কেউ আমাদের মাঝে বন্ধনের রজ্জুপাশ হবে না কখনো।


রচনাকাল: ঢাকা, ২২ আগস্ট ২০২১।