কে তিনি ? আমাকে খুঁজেন? কিবা তার পরিচয়?
আমাকে ফাঁসাতে কোনো ছদ্মবেশী তো নয়?
কোথা থেকে এসেছেন ? জানি না তো নাম-ধাম।
অমরাবতীর রাজকন্যা? মনিমালা তার নাম?
আমাকে তার এখন কেনোইবা হলো প্রয়োজন?
আমি অতি সাধারণ দীনহীন কবি একজন।
পারি না কিছুই। কি কাজ আমাকে দিয়ে তার?
নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করি আমি বারংবার।
এ সমাজসংসারে কেউ কোনো কাজে তো ডাকে না।
এখানে বসতি আমার যদিওবা-আমি সকলের চেনা।


নেকাবে মুখ ঢেকে খোলা চোখে সেই রাজকন্যে  
বসে অপেক্ষমান অনেকক্ষণ শুধু আমারই জন্যে
নানা রঙা সুগন্ধি ভরা ফুলের মনোরম এই বাগিচায়।
এখানেই এক কোণে বসে আমি ছন্দ তুলি কবিতায়।
সহস্র স্বর্ণ মুদ্রা মজুরি হিসেবে তিনি দেবেন আমাকে।
প্রেমের এক অমর মহাকাব্য লিখে দিতে হবে তাকে।
প্রিয়তমকে দেবেন উপহার -তিনি বলেন অকপটে।
অভাবী মানুষ আমি  -এতো আশাতীত -ঢের মূল্য বটে!


আমি বলি, 'কবিতা তখনই আসে-আমার মন যদি চায়।
লিখতে শিখেছি ত্যাগে-ধৈর্যে-কষ্টে -বহু সাধনায়।
কারো অনুরোধে কিংবা আদেশে-নির্দেশে কখনো
লিখতে পারি না আমি। দূরদেশী রাজকন্যা শুনো,
প্রেমিকের কাছে ফিরে যাও-খুউব ভালোবেসো তারে।
কবিতায় নয় - তোমার আত্মা দিয়ে বাধো তার আত্মারে।'


রচনাকাল: ঢাকা, ০৭ অক্টোবর ২০১৮